ময়মনসিংহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ আটজনের প্রাণ গেছে; আহত হয়েছে একজন।
মঙ্গলবার দুপুরে সদর, ত্রিশাল ও তারাকান্দা উপজেলায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে বলে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
নিহতরা হলেন-শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার দিঘীরপাড় এলাকার বাসিন্দা লুৎফর রহমান (৩০), তার স্ত্রী শাহনাজ পারভীন (২৫), তাদের সন্তান মাহিত (২), ত্রিশাল উপজেলার কাজিরকান্দা গ্রামের বাসিন্দা নাসিমা আক্তার (৩৫), জিহাদ মিয়া (২৪), নান্দাইল উপজেলার বাসিন্দা আপেল মিয়া (২৫), ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মারুফ হোসেন (১৮) ও তারাকান্দা উপজেলার বানিহালা এলাকার আবুল বাশার (৫৫)।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, “ঈদের ছুটিতে মাহেন্দ্র করে বাড়ি ফিরছিলেন একই পরিবারের চারজন। সদর উপজেলার ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ল্যাংড়াবাজার এলাকায় টাঙ্গাইলগামী ‘প্রান্তিক সুপার বাস’ মাহেন্দ্রটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাহিতের মৃত্যু হয়।
“আহত অবস্থায় বাকিদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লুৎফর ও শাহনাজের মৃত্যু হয়।”
এ ঘটনায় আহত ছয় বছরের মুজাহিদ ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, “স্বামী-স্ত্রী ভালুকার মাস্টারবাড়ি এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। মহাসড়কে যানজট এড়াতে তারা মাহেন্দ্র করে বাইপাস হয়ে শেরপুর যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
“দুর্ঘটনারর পর বাস চালক পালিয়েছে। তাদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। লাশ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।”
ত্রিশাল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, “উপজেলার বালিপাড়া রোডে বাসের ধাক্কায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছে।
“এছাড়া একই উপজেলার পৌর এলাকার দরিরামপুর এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে একটি পিকআপ ইউটার্ন নেওয়ার সময় ময়মনসিংহগামী বাসের ধাক্কায় এর দুই যাত্রী নিহত হয়। ”
এছাড়া তারাকান্দা উপজেলার ধোবাউড়া সড়কে বাসচাপায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয় বলে তারাকান্দা থানার ওসি ওয়াজেদ জানান।