একটি ছয় বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে বানরের একটি পাল শিশুটিকে রক্ষা করে। বানরগুলো ওই ব্যক্তির দিকে তেড়ে যায় এতে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যান তিনি।
কিন্ডারগার্ডেনের ওই শিশু শিক্ষার্থীর বাবা-মায়ের অভিযোগের পর অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির চেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি পলাতক রয়েছে। ঘটনাটি ঘটে ভারতের উত্তর প্রদেশের বাগপত অঞ্চলে।
কন্যাশিশুটির বাবা-মা দাবি করেছেন, শনিবার এক ব্যক্তি তাদের সন্তানকে প্রলুব্ধ করে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে সে তার জামাকাপড় খুলে ফেলে এবং তাকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করছিল। যখন কয়েকটি বানর আক্রমণাত্মকভাবে তার দিকে তেড়ে যায় তখন সে নাবালিকাটিকে ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিশুটি তার বাবা-মায়ের কাছে সেই দুর্বিষহ ঘটনার বর্ণনা করে এবং তাদের জানায় যে কীভাবে বানররা তাকে ‘অভিযুক্ত ব্যক্তির হাত থেকে বাঁচিয়েছিল’।
শিশুটির বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে ঘরের বাইরে খেলছিল যখন অভিযুক্তরা তাকে তুলে নিয়ে যায়। কাছের সিসিটিভি ফুটেজে ওই ব্যক্তিকে আমার মেয়ের সঙ্গে সরু গলি পথে হেঁটে যেতে দেখা যায়। যদিও তাকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তিনি আমার সন্তানকে হুমকিও দিয়েছিলেন যে সে আমাকেও মেরে ফেলবে… আমার মেয়ে এতক্ষণে মারা যেত যদি বানররা তৎক্ষণিক সেখানে হানা না দিতো।
বাগপত সার্কেল পুলিশের কর্মকর্তা হরিশ ভাদোরিয়া সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেন, ধর্ষণ চেষ্টাকালে বানরের হানা দেয়ার ঘটনাটির কথা আমরা শুনেছি এবং বিষয়টি তদন্ত করছি৷ শিশুটির বাবা-মায়ের অভিযোগের পর, বিএনএস এর ৭৪ ধারায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। নারীর শ্লীলতাহানির উদ্দেশে আক্রমণ বা অপরাধমূলক কাজ করলে এই ধারায় মামলা করা হয়।