বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক, নাশকতা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ দুই ডজনের অধিক মামলার আসামি শহিদ প্যাদা ওরফে গলাকাটা শহিদকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রোববার (১৩ অক্টোবর) রাত সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার সভার থানাধীন ডেন্ডাবর এলাকায় র্যাব-৮ ও র্যাব-৪ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শহিদ প্যাদার বিরুদ্ধে এরইমধ্যে বাবুগঞ্জসহ বরিশালের বিভিন্ন থানায় হত্যা, মাদক, ডাকাতি, মারামারি, ছিনতাই ও নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে দুই ডজনের বেশি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার শহিদ প্যাদা বাবুগঞ্জ উপজেলার চর উত্তর ভূতেরদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের প্যাদার ছেলে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে বরিশাল র্যাব-৮ এর মিডিয়া সেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
র্যাব জানিয়েছে, ‘শহিদ প্যাদা ওরফে গলাকাটা শহিদ বরিশাল এবং বাবুগঞ্জ উপজেলার একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। ইতোপূর্বে তিনি নিজ উপজেলা বাবুগঞ্জে ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করেন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত পাঁচ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর বাবুগঞ্জের বিভিন্ন জনপদে দখল, চাঁদাবাজি, হামলা, ভাঙচুর এবং লুটপাট করেন তিনিসহ তার লোকেরা। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাবুগঞ্জের কেদারপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভূতেরদিয়া এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ‘আড়িয়াল খা’ নদীর সরকারি ইজরাকৃত বালু মহল দখলের চেষ্টা করেন শহিদ প্যাদা।
এজন্য তিনি তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বালু মহলে ইজারাদারের টোকেন ঘরে হামলা ভাঙচুর করে। এ সময় তারা টোকেন ঘর থেকে বালু বিক্রির এক লাখ পঁচাত্তর হাজার টাকা লুট করে। পাশাপাশি নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দুই রাউন্ড ফাকা গুলি এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুটি ড্রেজার ছিনতাই করে গলাকাটা শহিদ ও তার বাহিনী।
এ ঘটনায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর বালু মহলের ইজারাদারের পক্ষে বাবুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন রফিকুল ইসলাম। এর প্রেক্ষিতে র্যাবের দুটি কোম্পানির পৃথক টিম যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের শীর্ষ সন্ত্রাসী গলাকাটা শহিদকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব জানিয়েছে, শহিদ প্যাদার বিরুদ্ধে বাবুগঞ্জসহ বরিশালের বিভিন্ন থানায় মাদক, ডাকাতি, মারামারি, ছিনতাই ও নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে দুই ডজনের বেশি মামলা রয়েছে।