শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডিগ্রি বিষয়ক অভিযোগের তদন্ত করবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রোববার (২০ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় মানবাধিকার কমিশন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯-এর ১৬ ধারা মোতাবেক সংবাদ সম্মেলনকারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুর্শেদুল ইসলামকে (পিটার) তার বক্তব্য সমর্থনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আগামী ৬ নভেম্বর কমিশনে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ বিষয়ে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে সম্মানহানি করা হয়েছে বলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ করেন কমিশনের সম্মানিত সদস্য বিশ্বজিৎ চন্দ। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য বিশ্বজিৎ চন্দের মতে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুর্শেদুল ইসলাম গত ১৯ অক্টোবর একটি সংবাদ সম্মেলনে পিএইচডি জালিয়াতি করে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন বলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলেন। কিন্তু তার লন্ডনের সোয়াস থেকে অর্জিত পিএইচডি ডিগ্রি কোনোভাবেই অসত্য নয়। তার অধ্যাপক পদে পদোন্নতি বিধি মোতাবেক হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তার ছুটির সব বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত ছিল। ‘বিনা বেতনে বিশেষ ছুটি’র সময়কালে কোনো বেতন-ভাতা নেওয়া হয়নি। শুধু ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ড. মুর্শেদুল ইসলাম বিশ্বজিৎ চন্দ-এর সম্মানহানি করেছেন।
বিশ্বজিৎ চন্দ এই ভিত্তিহীন ও মানহানিকর অভিযোগের তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশনের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানিয়েছেন।