কাবাব, বহুল জনপ্রিয় এ খাবারটির উৎপত্তি মূলত পারস্য ও আরব অঞ্চলে। সেখানকার বেদুইনরা শিকার বা যুদ্ধের সময় আশপাশে থাকা প্রাণী শিকার করে সেই মাংস তরবারিতে গেথে পুড়িয়ে খেতেন। খাদ্যের এই প্রণালি বিকশিত হয় তুরস্কে এসে। পারস্য, মধ্য এশিয়া ও সাবেক অটোমান অঞ্চলে এখনও নানা ধরনের কাবাব বানানোর বিশাল আয়োজন করা হয়। তেমনই একটি কাবাব ‘শেফতালিয়া’। এবার প্রায় আড়াইশ’ ফুট দৈর্ঘ্যের ‘শেফতালিয়া’ কাবাব তৈরি করে চমক লাগিয়েছে সাইপ্রাস।
এ কাবাবের জন্মও সাইপ্রাসেই। শেফতালিয়া সসেজের মতো দেখতে হলেও এতে সসেজের উপরিভাগে থাকা আবরণ ব্যবহার করা হয় না। পরিবর্তে ভেড়ার পাকস্থলীর চারপাশে যে চর্বিযুক্ত ঝিল্লি থাকে, সেটি দিয়েই এ কাবাবের উপকরণ মোড়ানো হয়। ২৪৬ ফুট লম্বা এই কাবাব তুলতেও লেগেছে প্রায় ৩০ জন।
কাবাবটি তৈরি করা হয়েছে মূলত সাইপ্রাসের বার্ষিক ‘সেন্ট লাজারুস ও তার ছোট্ট বন্ধু সাভাস’ উৎসবকে কেন্দ্র করে। এই উৎসবটি সেন্ট লাজারুসের পুনরুত্থানের স্মরণে এবং স্থানীয় ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে আয়োজিত হয়। যিনি খ্রিস্টধর্ম মতে অসুস্থ ও গরিবদের সাহায্যকারী হিসেবে পরিচিত। এ বছরের ১৪ অক্টোবর সাইপ্রাসের লারনাকা শহরে চতুর্থ ‘সেন্ট লাজারুস ও তার ছোট্ট বন্ধু সাভাস’ উৎসব থেকে পাওয়া অর্থ ব্যবহার করা হবে দাতব্য কাজে। এ বছর দেড়শর বেশি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান উৎসবে অংশ নিয়েছে। তাদের সবার লক্ষ্যই এক—সেন্ট লাজারুস সেন্টারের জন্য তহবিল সংগ্রহ।