মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগাম ফলাফল প্রকাশ হতে শুরু করেছে। নির্বাচনের আগে নানা জরিপে দুই প্রার্থীর অবস্থান জানানো হয়েছে। এবার ভোটের ফলাফলে দেখা যাক কে এগিয়ে আছেন।
অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) সবশেষ ফলাফল মতে, ২৭০ ইলেক্টোরাল ভোটের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের (১১২) চেয়ে বেশ এগিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প (২১০)।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের সবশেষ প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প।
কমলা হ্যারিস : কলোরাডো, কানেকটিকাট, ডেলাওয়্যার, ইলিনয়, ম্যাসাচুসেটস, মেরিল্যান্ড, নিউ জার্সি, নিউ ইয়র্ক, রোড আইল্যান্ড, ভার্মন্ট।
ডোনাল্ড ট্রাম্প : আলাবামা, আরকানসাস, ফ্লোরিডা, ইন্ডিয়ানা, কেনটাকি, লুইসিয়ানা, মিসৌরি, মিসিসিপি, মন্টানা, নর্থ ডাকোটা, নেব্রাস্কা, ওহিও, ওকলাহোমা, দক্ষিণ ক্যারোলিনা, সাউথ ডাকোটা, টেনেসি, টেক্সাস, উটাহ, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, ওয়াইমিং।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কয়েকটি রাজ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) স্থানীয় সময় ভোর ৬টায়। এরপর ধাপে ধাপে সব রাজ্যে শুরু হয়। দেশটিতে রাজ্যভেদে সময়ের ব্যবধান এবং একেক রাজ্যে একেক সময় ভোটগ্রহণ শুরুর সময় নির্ধারিত থাকায় শেষের সময়েও পার্থক্য হয়েছে। ঠিক এ কারণেই কিছু রাজ্যে ভোট গণনা দেরি হচ্ছে।
দেশটিতে মোট ৫০টি অঙ্গরাজ্যে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে। জিততে হলে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হবে।
নির্বাচনের জয়–পরাজয় নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে দোদুল্যমান ৭টি অঙ্গরাজ্য। সেগুলো কোনো দলের সুনির্দিষ্ট ঘাঁটি নয়। এসব অঙ্গরাজ্য হলো—নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া, পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, উইসকনসিন, অ্যারিজোনা ও নেভাদা। নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা এসব রাজ্যের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন। বাকি রাজ্যগুলো রিপাবলিকান বা ডেমোক্রেটিক দলের ঘাঁটি। সেসবে ধারাবাহিকভাবে নির্দিষ্ট একটি দলই জিতে আসছে।
এদিকে নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় রাখতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিছু রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছে স্নাইপার ইউনিট। রয়েছে কয়েক স্তরের গোয়েন্দা সতর্কতা। ভোট শেষেও বেশ কয়েক দিন এ ধরনের নজরদারি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।