লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যাওয়া ছাগল বাঁচাতে গিয়ে নুর আমিন (২০) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নুর আমিন উপজেলার পূর্ব সারডুবি এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় হাতীবান্ধার বড়খাতা ইউনিয়নের পুর্বসারডুবীর ৮নং ওয়ার্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নুর আমিন বড়খাতা বিএম কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, নিজ বাড়িতে নিমার্ণাধীন সেপটিক ট্যাংকে একটি ছাগল পড়ে যায়। সেই ছাগলটি উদ্ধারের জন্য নুর আমিন ওই সেপটিক ট্যাংকে মই দিয়ে নেমে ছাগলটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তার ভগ্নিপতি জাহেদুল ইসলাম তাকে উদ্ধারের জন্য নেমে তিনিও আটকে যান। খবর পেয়ে হাতীবান্ধা ফায়ার সাভির্স টিম গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নুর আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল।
তিনি বলেন, ‘সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যাওয়া ছাগল বাঁচাতে গিয়ে নুর আমিন নামে এক কলেজ ছাত্র মারা গেছেন। তার মরদেহ হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। অপরজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
হাতীবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর সায়েদ মোহাম্মদ ইমরান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সেপটিক ট্যাংকে থেকে দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরজনকে আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাতীবান্ধা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অবগত করেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দিলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।