যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ অঙ্গরাজ্যে কয়েকদিনের প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টিতে অন্তত ২২ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক। ঝড়ে টেক্সাস, ওকলাহোমা, আরকানসাস, কেনটাকি ও ভার্জিনিয়াতে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত পাওয়া খবরে বলা হয়েছে, টানা কয়েকদিনের ঝড়ে এসব রাজ্যের অসংখ্য ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া ঝড়ের প্রভাবে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন রাজ্যের কয়েক লাখ মানুষ।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার (২৭ মে) ভোরে কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম-এক্সে এক বার্তায় তার রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন।
তিনি কেনটাকিতে তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। এছাড়া সোমবার ভোরে মার্সার কাউন্টিতে একজন মারা যান। লুইসভিলে আরেকজনের মৃত্যু হয়। ঝড়ে তার রাজ্যেই পাঁচজন মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেন গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার।
শনিবার (২৫ মে) রাতে শুরু হওয়া ভয়াবহ ঝড়ের আঘাতে ওকলাহোমা সীমান্তের কাছে টেক্সাসের কুক কাউন্টির ভ্যালি ভিউতে আরও সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ সময় টর্নেডোতে টেক্সাসের মোবাইল হোম পার্কের কাছে একটি গ্রামীণ এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়।
রোববার (২৬ মে) টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট বলেন, নিহতদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে যাদের বয়স একজনের ২ এবং আরেকজনের ৫ বছর। এছাড়া ওই এলাকার একটি বাড়িতে একই পরিবারের তিন সদস্য মারা গেছেন।
ঝড় ওকলাহোমাতেও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন রেখে গেছে। অসংখ্য ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং এখানে আরও দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে ঝড়ে আরকানসাসজুড়ে আটজন মারা গেছেন বলে জানা গেছে। রোববার সন্ধ্যায় গভর্নর সারাহ হাকাবি স্যান্ডার্স এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
একজন কর্মকর্তা জানান, মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দুই জনের মৃত্যু সরাসরি আবহাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। তাদের মধ্যে একজন হার্ট অ্যাটাক করেছেন, অন্যজন অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছেন; তবে তা ঘটেছে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার কারণে।
অন্যদিকে ঝড়ের তাণ্ডবে কেনটাকির প্রায় ১ লাখ ৭৪ হাজার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের; পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় ৬৬ হাজার বাড়ির; আরকানসাসে ৬১ হাজার বাড়ির; মিসৌরিতে ৫৯ হাজার বাড়ির; টেক্সাসে ৬ হাজার এবং ওকলাহোমাতে ৩ হাজার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।