কেয়ামতের একটি উল্লেখযোগ্য আলামত হলো- অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, তীব্র ঠান্ডা ও দাবদাহসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে।
এতে করে মাঠঘাট যেমন ফসলহীন হয়ে পড়বে; প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসলের উৎপাদনও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আবার মরু অঞ্চলে ঝড়বৃষ্টির কারণে ঘটবে এর উল্টোটা।
বন্যার কবলে পড়ে বিপর্যস্ত হবে আরব অঞ্চল। পানির ছোঁয়ায় শুষ্ক মরুভূমি হয়ে যাবে সবুজ অরণ্য।
হজরত আবু হুরায়রাহ রা. থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে না যে পর্যন্ত সম্পদের প্রাচুর্য না আসবে। এমনকি কোনো ব্যক্তি সম্পদের জাকাত নিয়ে ঘুরবে কিন্তু নেওয়ার মতো লোক পাবে না। আরবের মাঠঘাট তখন চারণভূমি ও নদী-নালায় পরিণত হবে। (সহিহ মুসলিম)
সম্প্রতি সৌদি আরবে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের পর বিভিন্ন স্থানে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন দেশটির সাধারণ মানুষ।
ঝুম বৃষ্টিতে ভিজেছে পবিত্র নগরী মদিনার মসজিদে নববীও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, বৃষ্টির পরিমাণ এতই বেশি ছিল যে মসজিদে নববীর ছাউনি বেয়ে সজোরে পানি পড়ছে। বৃষ্টির পানিতে উপত্যকা এবং বিভিন্ন প্রাচীরে পানি উপচে পড়েছিল।
ওই সৌদির জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র মদিনার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছিল। বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার পানিতে অনেক জায়গায় সাধারণ মানুষের গাড়ি ডুবে গিয়েছিল, অনেক জায়গায় রাস্তাঘাটও বন্ধ হয়ে ছিল।
সৌদির মতো মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেও প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার আমিরাতের দুবাই বিমানবন্দরে ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছিল।
অব্যাহত বৃষ্টির কারণে সৌদি আরবের কিং ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মসজিদের ছাদ ভেঙে পড়েছে। মসজিদ সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে মূল ভবনের বাইরে স্টিলের এই ছাদটি স্থাপন করা হয়েছিল।
স্টিলের ছাদের ওপর এতই পানি জমা হয়েছিল যে এটি আর ভার বহন করতে পারেনি। একপর্যায়ে ভেতরের দিকে ধসে পড়ে। তখন মসজিদের ভেতর বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে এবং মসজিদে যেসব কার্পেট ছিল সেগুলো পানিতে ভিজে যায়।