ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মোকাবিলা করাটা যতটা সহজ ভেবেছিল নেতানিয়াহু প্রশাসন ঠিক ততটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিস্থিতি। যুদ্ধের শুরুতে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি ও হামাসকে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার প্রত্যয় থাকলেও এখন ইসরায়েলি বাহিনীকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে গাজার বাহিরে আরও বিভিন্ন যোদ্ধাদের। এর মধ্যেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে নতুন এক বাহিনী। বলা হচ্ছে নতুন এ বাহিনী শুধু ইসরায়েলকে নয় বরং বিপদে ফেলবে মধ্যপ্রাচ্যে ইহুদিবাদী দেশটির এক ঘনিষ্ঠ মিত্রকেও।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান গণহত্যা ও আগ্রাসনের বিরোধিতায় প্রথমবারের মতো ইসরায়েলবিরোধী যুদ্ধে যোগ দিয়েছে বাহরাইনের প্রতিরোধ গ্রুপ আল-আশতার ব্রিগেড তথা এএবি। এরইমধ্যে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় এইলাত বন্দরে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে তারা।
এক বিবৃতিতে আল-আশতার ব্রিগেড জানিয়েছে, গেলো ২৭ এপ্রিল ইসরায়েলের এইলাত বন্দরে ড্রোন ব্যবহার করে ওই হামলা চালানো হয়েছে। সংগঠনটি বলছে, ‘ট্রাকনেট’ নামক যে কোম্পানি এইলাত সমুদ্র বন্দর থেকে সড়কপথে পণ্য পরিবহন করে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেয় সেটির সদরদপ্তরে এ হামলা চালানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গেল বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি গণহত্যার শিকার গাজাবাসী ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে তারা এ হামলা চালিয়েছে। দখলদার ইসরায়েল গাজায় তাদের গণহত্যা বন্ধ না করা পর্যন্ত গাজাবাসীর সমর্থনে এএবি তাদের ইসরায়েলবিরোধী অভিযান চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে সতর্ক করা হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবর থেকেই সিরিয়া, ইয়েমেন, ইরাক ও লেবাননের প্রতিরোধ সংগঠনগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযান চালিয়ে আসছিল। বিশেষ করে লেবানন ও ইয়েমেন থেকে সবচেয়ে বেশি হামলার শিকার হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী ও তার মিত্র শক্তিগুলো।