27 C
Dhaka
Thursday, November 14, 2024

আবারও ক্ষমতায় ট্রাম্প, ইরানের বিরুদ্ধে এবার কী করবেন তিনি

আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কমালা হ্যারিসকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট হয়েছেন তিনি।

ট্রাম্প পুনরায় ক্ষমতায় আসায় আরব ও পশ্চিমা নেতাদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, ট্রাম্প খুব সম্ভবত ইরানের ওপর ফের ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের’ নীতি অবলম্বন করতে পারেন। এর অংশ হিসেবে ইরানের তেল শিল্পের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন তিনি।

এর সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোতে হামলা এবং ইরানি কর্মকর্তাদের যেন হত্যা করতে পারে সেজন্য ইসরায়েলকে আরও সাহায্য সহযোগিতা করবেন তিনি।

আরো পড়ুন  বোমা হামলার হুমকিতে বিপর্যস্ত ভারতের বিমান পরিবহন খাত

ট্রাম্প ২০১৬ সালে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ২০১৮ সালে ইরানের সঙ্গে করা পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে আসেন। এরপর আরোপ করেন কঠোর সব নিষেধাজ্ঞা।

২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য শক্তিশালী দেশগুলো ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করে। এই চুক্তি অনুযায়ী, ইরান তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করে দেয়। এর বদলে পশ্চিমারা তেহরানকে আর্থিক ছাড় দেওয়া শুরু করে।

আরো পড়ুন  বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কিপক্স, নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে

তবে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, চুক্তি থাকা সত্ত্বেও ইরান তাদের পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধি করছিল। এ কারণে তিনি চুক্তি থেকে সরে আসেন। যদিও এটির প্রভাবে ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়েনি। কিন্তু দেশটির অর্থনীতির ওপর প্রভাব ছিল খুবই ‘মারাত্মক’।

২০১৮ সালে ট্রাম্প যখন ইরানের ওপর আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তখন দেশটির তেল রপ্তানিতে বিপর্যয় ঘটে। এতে সরকারের আয় কমে যায়। তখন বাধ্য হয়ে ইরান সরকার ট্যাক্স বৃদ্ধি, বাজেট ঘাটতিসহ বেশ কিছু অজনপ্রিয় সিদ্ধান্ত নেয়। যার প্রভাবে ইরানের বাৎসরিক মুদ্রাস্ফীতি ৪০ শতাংশে থেকে যায়।

আরো পড়ুন  ভারতীয় মিডিয়ার খবর তিস্তার পর এবার পদ্মার পানি নিয়েও ঝামেলা বাধাতে পারেন মমতা

এছাড়া ট্রাম্পের আমলে ডলারের বিপরীতে ইরানি রিয়ালের মান অস্বাভাবিক রকম কমে যায়। ওই সময় এক ডলারের বিনিময়ে ৭০ হাজার ইরানি রিয়াল পাওয়া যেত।

সর্বশেষ সংবাদ