সমর্থকদের জন্য ডাবল ধামাকা। আইপিএলের ১৯ তম ম্যাচে এসে জোড়া সেঞ্চুরির মুখ দেখলো সমর্থকরা। তবে সেঞ্চুরি করে জস বাটলার দলকে জেতাতে পারলেও, বিফলেই গেলো বিরাট কোহলির শতরান। সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড়, কোহলি ধীরগতির সেঞ্চুরির কারণেই নাকি হেরেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
দুই শেয়ানের মহা লড়াই দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব। বিরাট কোহলির সেঞ্চুরির জবাবটা জস বাটলার দিলেন ওভারবাউন্ডারিতে সেঞ্চুরি করে সাথে রাজস্থানের চারে চার ম্যাচ জিতিয়ে। এবারের আইপিএলের প্রথম দু’টি শতরান এলো কিনা একই ম্যাচে। রোজ রোজ কি আর এমন ডাবল ডেকার সেঞ্চুরির রাত মেলে?
আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক এখন কিং কোহলি। ২৪২ ম্যাচে তার শতক ৮টা। ৭ শতক নিয়ে ক্রিস গেইল আছেন দুই নম্বরে আর তিন নম্বরে জস বাটলার। ১০০ ম্যাচে ৫ শতক তার।
সাদা চোখে ৭২ বলে ১১৩ রানের ইনিংসটা যতটা ঝকঝকে আদতে কিন্তু ততটা নয়। আইপিএলের ইতিহাসে যুগ্মভাবে সবথেকে স্লো গতির শতরান করেছেন কোহলি।
২০০৯ সালে সবশেষ ৬৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন মনীশ পাণ্ডে। ৬৬ বলে সেঞ্চুরি করেছেন তিনজন। শচীন টেন্ডুলকার, ডেভিড ওয়ার্নার আর জস বাটলার।
আর তাইতো সমালোচকরা মেতেছেন তার ঢিমেতালের ইনিংসের সমালোচনাতে। নয়া যুগের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে নাকি কোনোভাবেই যায় না কোহলির এই ইনিংস।
রব উঠেছে, ‘কোহলি কি রান মেশিন নাকি স্লো মেশিন’। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ঝড়… দলের জন্য নয় বরং কোহলি বরাবরের মতো খেলেছেন নিজের জন্য, স্বার্থপরের মতো। নিজের সেঞ্চুরির কথা ভেবে ডেথ ওভারে কোহলি নাকি ব্যাট চালিয়েছেন ঢিমেতালে।
কোহলির ধীরগতির ইনিংসের ব্যাখ্যা অবশ্য নিজেই দিয়েছেন ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার।
রাজস্থান মাঠে নামার আগ পর্যন্ত কোহলি ছিলেন ঠিকঠাক। তবে জস বাটলারের ১৭২ স্ট্রাইক রেটে ৫৮ বলের ঝোড়ো শতরানের সামনে ফিকে হয়ে গেলো সব। একদিকে, আইপিএলে নিজের ১০০তম ম্যাচে ১০০ রান করে দলকে জেতালেন ইংলিশ অধিনায়ক। আইপিএলে পিংক প্রমিজ ডেতে রাজস্থানের চারে চার জয়।
বিপরীতে পাঁচ ম্যাচ খেলে চারটিতেই হেরেছে কোহলির দল। এ নিয়ে তৃতীয়বার কোহলি সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারলেন না। এ জন্যই তো বলে স্লো এন্ড স্টেডি যাই হোন না কেনো দিনশেষে রেসটা জিততে হবে দলের জন্য। নয়তো কাজে আসবে না কোনো স্ট্র্যাটেজি।
এবারই প্রথম নয় গেলো ওডিআই বিশ্বকাপেও ধীরগতির সেঞ্চুরির কারণে সমালোচনার স্বীকার হয়েছিলেন বিরাট কোহলি। অনেকেই বলছেন কোহলি কেবল নিজের ক্যারিয়ারকেই সমৃদ্ধ করে চলেছেন তাইতো ভারতের এই ট্রফি খরা!