ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছে উত্তর আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়া। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দেশটি থেকে এ ঘোষণা আসে।
নিকারাগুয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলো রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এই পদক্ষেপের ঘোষণা দেন। গত বছরের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের এক বছর পূর্তিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে দেশটির কংগ্রেসে একটি প্রস্তাব পাস হয়। এরপর সরকারের এমন সিদ্ধান্ত জানালেন তিনি।
মুরিলো প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার স্ত্রী। তিনি বলেন, রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা নেতারা ফ্যাসিস্ট ও গণহত্যাকারী। তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখতে চায় না তার দেশ। সম্পর্ক ছিন্ন করতে তার স্বামী সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ সম্পর্ক ছিন্নে প্রক্রিয়া হবে প্রতীকী। কারণ, ইসরায়েলের সঙ্গে আপাতত নিকারাগুয়ার কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। দেশটিতে ইসরায়েলের কোনো রাষ্ট্রদূতও নেই। এ ব্যাপারটির প্রতি ইঙ্গিত করে মুরিলো জানান, গাজায় নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞের জন্য ইসরায়েলকে একঘরে করার যে প্রচেষ্টা তাতে রসদ জোগাবে নিকারাগুয়ার পদক্ষেপ।
এ ছাড়া এক বিবৃতিতে নিকারাগুয়ান সরকার গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের নিন্দা করেছে এবং বলেছে, যুদ্ধ এখন লেবাননে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সে সঙ্গে তা সিরিয়া, ইয়েমেন ও ইরান ধ্বংসে মারাত্মকভাবে হুমকি সৃষ্টি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো যখন ইসরায়েলের সাফাই গাইছে তখন গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা করে লাতিন আমেরিকায় বিক্ষোভ হচ্ছে। ব্রাজিল, কলম্বিয়া ও চিলির মতো দেশের বামপন্থি নেতারা প্রথম থেকেই ইসরায়েলের স্পষ্ট সমালোচনা করে আসছে। তারা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ যুদ্ধের কারিগরদের বিচারের দাবিও তুলছেন। এবার সেই তালিকায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিকারাগুয়ার নাম উঠল।