চিরচেনা রূপে ফিরেছে কক্সবাজারের পর্যটনশিল্প। লাখো পর্যটকের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে কক্সবাজার। সবাই যেন কক্সবাজারের অপার সৌন্দর্য প্রাণ ভরে উপভোগ করছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) দুর্গাপূজা ও ছুটির দিনে সকাল থেকেই পর্যটকে পূর্ণ হয়ে ওঠে সমুদ্র সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্ট। বালিয়াড়িতে ঘোরাঘুরি করে পরিবার পরিজন নিয়ে একান্ত সময় কাটাচ্ছে তারা। কেউবা ঘোড়ায় চড়ে, ওয়াটার বাইকে করে সমুদ্রে বিচরণ করে নির্মল আনন্দে মেতে উঠছে। সমুদ্রে নীল জলরাশিতে ঢেউয়ের তালে তালে গা ভাসিয়ে খুশিতে আত্মহারা পর্যটকরা।
ছুটি উপলক্ষে আগে থেকেই কক্সবাজারে আবাসিক হোটেল—গেস্ট হাউসে শতভাগ বুকিং সম্পন্ন ছিল। পর্যটক টানতে বেশিরভাগ আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ীরা রমরমা ডিসকাউন্ট ঘোষণা করে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কক্সবাজার শহরের ৫ শতাধিক হোটেল—মোটেল ও গেস্ট হাউসে ধারণ ক্ষমতার বেশি পর্যটক অবস্থান করছে। সেই হিসাবে এবারের ছুটিতে প্রতিদিন দেড় লাখ পর্যটক কক্সবাজারে অবস্থান করছেন।
কলাতলী মেরিন ড্রাইভ রোড আবাসিক হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান জানান, এবারের ছুটিতে কক্সবাজারের দীর্ঘ দিনের পর্যটক খরা কেটে গেছে। এমনিতে চলতি অক্টোবর থেকে পর্যটন মৌসুম শুরু হয়েছে। তাই এবার ভালো ব্যবসা হওয়ার প্রত্যাশা তাদের।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও হিমছড়ি, দরিয়ানগর, ইনানী সৈকত, মহেশখালী, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, রামু বৌদ্ধ বিহারসহ জেলার অন্যান্য পর্যটন স্পটেও প্রচুর পর্যটক সমাগম ঘটেছে।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের এএসপি আবুল কালাম জানান, পর্যটকদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও অপরাধ দমনে নিরবচ্ছিন্ন কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। কয়েকটি ভাগে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, টেকনাফ ও ইনানীসহ সব স্পটে দায়িত্ব পালন করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সৈকতে পোশাকধারী পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টেও টহল জোরদার করা হয়েছে।