জয়পুরহাটে কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুল মোত্তাদির এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের শংকর মহন্তের ছেলে রনি কুমার মহন্ত (৩৩) এবং একই গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে যামিনী জাহিদ (৩৫)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাট সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিভাগের শিক্ষার্থী ও পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা। ২০২২ সালের ৬ এপ্রিল রাতে তার ভাই-ভাবি বাড়িতে না থাকার সুযোগে আসামিরা ভিকটিমের শয়নকক্ষে প্রবেশ করে জোরপূর্ব্বক ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে। আসামিরা ভিকটিমকে হত্যা করে দেওয়াল টপকে পালিয়ে যায়।
পরেরদিন ৭ মে সকালে ভিকটিমের মরদেহ প্রতিবেশীরা দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সন্ধ্যার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহত আয়েশা সিদ্দিকার বড় ভাই মোস্তাক হোসেন বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পরপরই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ফিরোজা চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে প্রায় দুই বছর পাঁচ মাস পর আজ আদালত দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।