ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য হিসেবে পরিচিত। কিন্তু রোববার, সেই প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে হিজবুল্লাহর ড্রোন ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ঢুকে প্রাণঘাতী হামলা চালাতে সক্ষম হয়।
রোববার (১৩ অক্টোবর) মধ্য-উত্তর ইসরায়েলের বিনইয়ামিনা শহরের নিকটস্থ একটি সেনাঘাঁটিতে এই হামলা ঘটে, যা লেবানন সীমান্ত থেকে প্রায় ৪০ মাইল দূরে এবং তেলআবিবের উত্তরে অবস্থিত।
ড্রোন হামলায় চার ইসরায়েলি সেনা নিহত এবং ৬৭ জন আহত হন, যাদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
হিজবুল্লাহ দাবি করেছে যে, তারা ইসরায়েলের পদাতিক প্রশিক্ষণ শিবির লক্ষ্য করে একঝাঁক ড্রোন পাঠিয়েছিল, যার মধ্যে একটি ড্রোন এ সেনাঘাঁটিতে আঘাত হানে।
তারা আরও জানায়, গত বৃহস্পতিবার লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ২২ জন নিহত এবং ১১৭ জন আহত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবেই এই ড্রোন হামলা চালানো হয়।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা অত্যন্ত শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও, হিজবুল্লাহর ড্রোন রোববার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ফাঁকি দিতে সক্ষম হয়। ড্রোনগুলো প্রবেশ করার সময় বিনইয়ামিনা এলাকায় কোনো সতর্কবার্তা শোনা যায়নি।
এদিকে বিনইয়ামিনা এলাকায় হামলায় একটি বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে হিজবুল্লাহ। এক ঝাঁক রকেটের নিচে ড্রোন পাঠায় তারা। উদ্দেশ্য ছিল ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করা। অন্তত একটি ড্রোন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম হয়। ফলে একটি ড্রোন বিনইয়ামিনায় আছড়ে পড়ে, যা ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আঘাত করার বড় ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
আইডিএফের শীর্ষ মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি জানান, তারা এ ঘটনার তদন্ত করবে এবং কীভাবে ড্রোনগুলো সেনাঘাঁটিতে প্রবেশ করল, তা খতিয়ে দেখবে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আরও উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
সূত্র: সিএনএন