24 C
Dhaka
Thursday, November 21, 2024

ডেঙ্গু প্রতিরোধে আগাম ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আগাম ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। এটা তো শেখ হাসিনার আমল না। তার ভাতিজা ঢাকা দক্ষিণের মেয়র হন। তিনি ডেঙ্গু প্রতিরোধে ওষুধ রাখার যে গোডাউন, সেটি অন্য কাজে ব্যবহার করতেন। সেখানে ডেঙ্গুর কোনো ওষুধ ছিল না।

তারা যেহেতু হরিলুটের সরকার, তারা এ ধরনের কাজ করতে পারে। কিন্তু এখন তো জনসমর্থিত সরকার। তাদের দুই মাস হলো। জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকে। এতে জীবনহানি যাতে না ঘটে তার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ, হাসপাতালে সিট সংখ্যা বাড়ানো, বিশেষ করে ঢাকার হাসপাতালে সিট সংখ্যা বাড়ানো উচিত ছিল।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আমরা নানা সময়ে উপদেষ্টাদের নানা কথা শুনছি, নানা পদক্ষেপের বিষয়ে শুনেছি। কিন্তু মানুষের জীবন বাঁচাতে যে আরও তৎপর হওয়া দরকার, সেটা খুব একটা পরিলক্ষিত হয়নি। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স দুই মাসের বেশি হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা মনে করি, জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরে আসবে। নির্বাচিত সরকারই একমাত্র জনগণের জন্য কাজ করতে পারে। যেখানে মানুষের বেঁচে থাকার প্রশ্ন, সেখানে নির্বাচিত সরকার কাজ করতে পারে। বন্যায় সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ব্যাপক কাজ হয়েছে।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে ডেঙ্গুতে প্রায় ২ শতাধিক মানুষ মারা গেছে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ জন করে মানুষ মারা যাচ্ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধযোগ্য। করোনা প্রথম দিকে প্রতিরোধ করা যায়নি। কারণ তার কোনো ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি। কিন্তু ডেঙ্গু তো অনেক পুরোনো রোগ। এটা একটা নির্দিষ্ট সময় হয়। বর্ষাকালে এটা ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে। এসব প্রতিরোধে বিএনপি কিন্তু লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করে জনসচেতনতা করছে।

আরো পড়ুন  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবির সেক্রেটারির পরিচয় প্রকাশ

রিজভী আরও বলেন, স্বৈরাচারের আমলে যেসব সরঞ্জামাদি কেনা হয়েছিল, তা অতি নিম্ন মানের। করোনার সময়ে আমরা দেখেছি এ ঘটনা। টাকা আত্মসাৎ করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। দেশের হাতেগোনা কয়েকটি হাসপাতালে অক্সিজেন ছিল। মানুষকে কাতরাতে দেখেছি। মাস্ক থেকে শুরু করে সব মেশিনারিজ অত্যন্ত নিম্নমানের ছিল। করোনার সময়ে অনেকের চাকরি চলে গেছে। তাদের পুনর্বাসন নিয়ে ভাবা হয়নি।

আরো পড়ুন  গোপালগঞ্জে বিএনপি নেতা মেজবাহর মতবিনিময় সভা 

তিনি বলেন, আমরা কয়টা ফ্লাইওভার করলাম, তাতে মানুষের জীবন বাঁচবে না। মানুষের জীবন বাঁচাতে যে সব কাজ করা দরকার আগের স্বৈরশাসক তা করেনি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ইশরাক ও তাবিথ ঢাকার মেয়র হতেন। বিএনপি গণভিত্তিক দল জানিয়ে রিজভী বলেন, দলের সামর্থ্য অনুযায়ী আমরা করে যাচ্ছি। ডেঙ্গুর প্রকোপ না কমা পর্যন্ত আজ থেকে আরও বেগবান করা হলো সচেতনতা ও সেবামূলক কার্যক্রম। এসব না হলে মানুষের মধ্যে হতাশা তৈরি হবে।

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে নির্দেশে বিএনপির চিকিৎসকরা যেমন ছাত্র আন্দোলনে আহতের পাশে দাঁড়িয়েছে, তেমনি আজকে ডেঙ্গু আক্রান্ত নগরবাসীসহ দেশবাসীর পক্ষে দাঁড়িয়েছে।

আরো পড়ুন  যে বার্তা দিলেন বেগম খালেদা জিয়া

এজন্য সরকারকে বড় উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা তো বেসরকারিভাবে কাজ করতে পারি। আমরা ইতোমধ্যে ডেঙ্গু মোকাবিলার কাজ শুরু করেছি। আমাদের চিকিৎসকরাও কাজ শুরু করেছে। বিশেষ করে ঢাকার দুই সিটির জনতার মেয়র ইশরাক হোসাইন ও তাবিথ আওয়াল ডেঙ্গু সচেতনতায় কাজ করছে। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের জন্য ব্লাড সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সহায়তায় হটলাইন চালু করা হয়েছে। এ সময় ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিএনপির ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেনের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়। রক্তদান কর্মসূচি গ্রহণ, হটলাইন চালু ও লিফলেট বিতরণ করার কথা বলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, তাবিথ আউয়াল, আমিনুল হক, তানভীর আহমেদ রবিন, এসএম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ