আইন মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান হিসেবে হাইকোর্টের বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাতে আইন সচিব শেখ আবু তাহের স্বাক্ষরিত এই প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ (১৯৭৩ সালের আইন নং ২১)-এর ধারা ৬-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীকে ওই ট্রাইব্যুনালের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো।
ট্রাইব্যুনালের সদস্য অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত একজন বিচারপতির সমমর্যাদার বেতন-ভাতাদি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাবেন।
এর আগে হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে সদ্য নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারকে চেয়ারম্যান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে সরকার।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি জানান, ট্রাইব্যুনালে সদস্য হিসেবে থাকছেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আইন উপদেষ্টা বলেন, সরকার সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক্রমে হাইকোর্টের দুজন বিচারপতি এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজকে নিয়ে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের কাজ সম্পন্ন করেছে। আশা করছি, এ মাসের মধ্যেই বিচারপতিরা এজলাসে বসবেন।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে অপরাধের বিচারের জন্য শক্তিশালী ফোরাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হয়ে যাবে দু-এক দিনের মধ্যে। আশা করা যাচ্ছে, খুব শিগগির বিচারকাজ শুরু হয়ে যাবে।
জিপি-পিপি নিয়োগের তথ্য উল্লেখ করে ড. আসিফ নজরুল বলেন, আরেকটি গুড নিউজ হচ্ছে, নিম্ন আদালতে বিচার কাজ ব্যাহত হচ্ছিল পিপি-জিপি নিয়োগ না হওয়ার কারণে। এর পেছনে কারণ ছিল, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া সাড়ে চার হাজার জিপি-পিপি পালিয়ে গেছে। এগুলো নিয়োগ করার জন্য যাচাই-বাছাই করতে হয়েছে। আবেদন পড়েছিল প্রায় ৫০ হাজার। এসব যাচাই-বাছাই করতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। সোমবার ঢাকা জেলার ৭৬২ জন সরকারি আইন কর্মকর্তা (জিপি-পিপি) নিয়োগের কাগজে স্বাক্ষর করেছি।