২০২২ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘ভাইয়ারে’ সিনেমা। কেন্দ্রীয় চরিত্র অভিনয় করা রাসেল মিয়া সেটিকে ‘পাপমুক্ত’ সিনেমা বলে দাবি করেন। এরপর থেকেই রাসেল ‘পাপমুক্ত’ অভিনেতা হিসেবে পরিচিতি পান। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে ট্রল হতে থাকে।
এবার অপরাধমূলক ও বিশ্বাস ভঙ্গ জালিয়াতির অভিযোগে আবারও মামলা হলো রাসেল মিয়ার নামে। বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন স্ত্রী বর্ষা চৌধুরী নিজেই।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২৯নং কোর্টে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আফনান সুমী এ আদেশ দেন।
পরে তা সবুজবাগ থানা পুলিশকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন এ আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালে প্রথম বিয়ে-সন্তান গোপন করে তৃতীয় বিয়ে করেন অভিযুক্ত রাসেল মিয়া। এছাড়া বর্ষা চৌধুরীকে বিয়ের সময় বরের ভাষ্যমতে লেখা হয় প্রথম বিবাহ, যা আইনের ৪৯৬/৫০৬ ধারার আওতায় এ মামলাটি করা হয়। তবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের একটি সংবাদ সম্মেলনে রাসেল মিয়া তৃতীয় বিবাহের কথা স্বীকার না করলেও দ্বিতীয় বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন নিজে।
রাসেল মিয়ার মামলাটি প্রসঙ্গে বর্ষা চৌধুরী বলেন, বিয়ের সময় আমি বিধবা বলেই বিয়ের কাবিনে সিগনেচার করি। কিন্তু বরের ভাষ্যমতে, রাসেল মিয়া প্রথম বিয়ে লিখেছেন। রাসেল মিয়া শুরু থেকেই আমার সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। এর আগেও তিনি এতিম বলে পরিচয় দেন। কিন্তু এখন তার মা, বোন ও বোনজামাই সম্মুখে এসেছেন।
বর্ষা আরও বলেন, মোটা অঙ্কের টাকা আর আমার চরিত্র খারাপ দেখিয়ে জামিন নিয়েছে। কিন্তু যে ছবিগুলো আদালতে দাখিল করেছেন সেগুলো আমার শুটিং এবং বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকতায় বড় ভাইদের সঙ্গে তোলা ছবি। সেখানেও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে রাসেল মিয়া। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা মিথ্যা বলে আমাকে মানসিকভাবে হেনস্তা করছেন। এ নিয়ে আমি শিল্পী সমিতিসহ ডিবিতে অভিযোগ করব।
স্ত্রীর করা প্রতারণা মামলা নিয়ে রাসেল মিয়া মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমি আপনার থেকে জানলাম। আগামীকাল (১৬ অক্টোবর) প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনের ডাক দিয়েছি। বাকি কথা আগামীকাল জানানোর কথা বলেন রাসেল মিয়া।
গেল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের প্যানেল পরিচিতির অনুষ্ঠানে রাসেল মিয়া বর্ষাকে ফুঁসলিয়ে নায়িকা রত্না কবিরের বাসায় কথিত বোন হেলেনা জাহাঙ্গীরের সম্মতিতে এ বিয়ে করেন।