দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে ছাত্রদল বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজসহ খুলনার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও নগরীর বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্র রাজনীতি ও বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা সংবলিত লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
অতি সম্প্রতি খুলনা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মনোভাবের বিষয়ে তাদের মতামত নিয়ে কথা বলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে কোনো দখলদারিত্ব, শোডাউন হচ্ছে না। ছাত্রদলের কর্মী হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা হলগুলোতে সিট পাচ্ছে না, কিন্তু ছাত্রলীগের নেতারা হলে থাকছে। আমরা পুরো বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পাসগুলোর প্রশাসনের বিবেচনার ওপর ছেড়ে দিয়েছি।
তিনি বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গের ব্যাপারে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে জিরো টলারেন্স পলিসির কঠোর বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ক্যাম্পাসে একাডেমিক পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করছে ছাত্রদল। এ বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর। যারা ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতিত হয়েছে তাদের আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য পৃথক সেল গঠন করা হয়েছে।
নাছির বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে দখলদারিত্ব ভিত্তিক গতানুগতিক ছাত্ররাজনীতির অবসান সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে একুশ শতকের উপযোগী একটি মেধাভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি বিনির্মাণ করার জন্য আমরা দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ছাত্রদলের রাজনীতির অংশীদার করতে চাই। যাতে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি সুষ্ঠু রাজনীতিচর্চার মধ্যদিয়ে আগামী দিনে পূর্ণাঙ্গ নাগরিকে পরিণত হতে পারেন। দেশপ্রেমিক হয়ে উঠতে পারেন। আমাদের বিশ্বাস, এর ফলে সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে বাংলাদেশের যাত্রা বেগবান হবে।
খুলনা সরকারি ব্রজলাল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় শিক্ষার্থী প্রমিলা দাস বলেন, ক্যাম্পাসে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত ছাত্র সংগঠনের। শিক্ষার পরিবেশ যেন সবার জন্য সমান থাকে এমনটাই আমাদের দাবি।
এরপর খুলনা মহানগরীর খালিশপুরের বৈকালি বাজার, চিত্রালী বিএডিসি রোড, মারকেট বাজার, ফুলবাড়িগেট, রেইলগেটসহ বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা সংবলিত লিফলেট ও ধানের শীষের স্টিকার উপহার হিসেবে সাধারণ জনগণের হাতে তুলে দেন।