লালমনিরহাটের আলোচিত শ্রমিকলীগ নেতা ফখরুল ইসলাম বুলেট হত্যা মামলায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এ ছাড়া ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে। ওই হত্যা মামলায় ১১ আসামির মধ্যে একরামুল হক ও মিঠু কিলারসহ ৬ জনকে খালাস দিয়েছে আদালত এবং বাকি দুজন মারা গেছেন।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আদিব আলী এ রায় দেন। এ সময় খালাসপ্রাপ্ত ৩ আসামি আদালতে উপস্থিত থাকলেও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরাসহ অন্য আাসামিরা অনুপস্থিত ছিল।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের কাজির চওড়া এলাকার হায়দার খানের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল খান, একই এলাকার ফজলে খানের ছেলে বিপুল খান ও গোলজার খানের ছেলে মসজিদুল চোর।
জানা গেছে, সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের চিনিপাড়া এলাকার এনামুল হকের ছেলে শ্রমিকলীগ নেতা ফখরুল ইসলাম বুলেটের সঙ্গে ১নং আাসামি আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল খানের সঙ্গে স্থানীয় হাটের ইজারা, সরকারি সার গোডাউনের লোড আনলোড কমিশন নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধে ২০১৫ সালের ২৭ জুন রাতে আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল খান শ্রমিকলীগ নেতা বুলেটকে মোবাইল ফোনে কল করে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। পরে তাকে সদর উপজেলার মহেন্দনগর বাজার সংলগ্ন বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে দা, চাপাতিসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল খান ও তার সহযোগী অন্যান্য আসামিরা কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় শ্রমীকলীগ নেতা বুলেটকে সদর হাসপাতলে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে এ ঘটনায় নিহত বুলেটের বাবা এনামুল হক সরকার বাদী হয়ে ওই আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল খানসহ ১১ জনকে আাসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ৯ বছর পর অবশেষে বুধবার আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।
লালমনিরহাট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আকমল হোসেন জানান, দীর্ঘ ৯ বছর শুনানির পর বুধবার আলোচিত এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করল আদালত। রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।