ইরানের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে ইসরায়েল। তবে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করেছেন যে, এই পাল্টা আক্রমণ শুধুমাত্র সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে সীমাবদ্ধ থাকবে। জ্বালানি বা পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানার কোনো পরিকল্পনা নেই।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সিএনএন-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে কবে এবং কখন এ হামলা চালানো হবে সে ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।
গত ১ অক্টোবর, হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ও হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াসহ অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরান প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করে।
এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিএনএন এর সূত্র জানায়, ৫ নভেম্বরের আগে ইসরায়েল পাল্টা আঘাত হানতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের চূড়ান্ত মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাকে আরও তীব্র করে তুলতে পারে।
এদিকে ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণের সুনির্দিষ্ট সময়সূচি ও পরিধি নিয়ে নেতানিয়াহু সরকারে রুদ্ধদ্বার আলোচনা চলছে। নেতানিয়াহু মার্কিন রাজনীতির প্রতি সংবেদনশীল এবং তার নেওয়া পদক্ষেপের ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক প্রভাব সম্পর্কে সচেতন। তিনি ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এমনভাবে নির্বাচন করেছেন যেন তা যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনে প্রভাব ফেলার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি না করে।
অপরদিকে মধ্যপ্রাচ্যে বাড়তে থাকা সংকট ও উত্তেজনা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। এর ফলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ওপর চাপ বাড়ছে। ইসরায়েলি আক্রমণ ও ইরানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া যে কোনো সময়ে সংঘাতকে আরও বিস্তৃত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইরানের ক্ষেপনাস্ত্র হামলার পর কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ইরান একটি বড় ভুল করেছে এবং এর মাশুল দিতে হবে। নেতানিয়াহু আরও বলেন, ইরানের হামলার জবাব দেওয়ার জন্য আমি কাঙ্ক্ষিত সময় ও স্থানের অপেক্ষায় রয়েছি।
ইসরায়েলের আসন্ন পাল্টা হামলা মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। ৫ নভেম্বরের আগে আঘাত হানার সম্ভাবনা থাকায় অঞ্চলটি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে।