বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম বলেছেন, যারা হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে ফ্যাসিস্টের স্লোগান দিয়ে আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ওয়াসিম কিংবা হৃদয় তরুয়ার কোরবাণীকে অপমান করেছে তাদের এক ন্যানো-পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা অতিসত্বর দুর্নীতিবাজ, ফ্যাসিস্ট আইনজীবী ও বিচারকদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের আর্জি জানাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের নিজ ভ্যারিফায়েড পেইজে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কালবেলার পাঠকদের জন্য সাদিক কায়েমের স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো:
ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর হাসিনার পতিত দোসররা বিভিন্ন হীন কূটকৌশল শুরু করে। জুডিশিয়াল ক্যু-এর মাধ্যমে হাসিনাকে পুনর্বাসিত করার অপচেষ্টা চালায় ফ্যাসিবাদী বিচারকরা। কিন্তু সচেতন বীর ছাত্রজনতা তা সফল হতে দেয়নি। পরবর্তী সময়ে আরো কয়েকটি ব্যর্থ অপচেষ্টা চালায় ফ্যাসিবাদের দোসররা।
সহস্র শহীদের তাজা রক্তের উপর আমাদের স্বাধীনতার গাঁথুনি স্থাপন করেছি। যারা আমাদের এই ঐতিহাসিক অর্জনকে ভূলুণ্ঠিত করতে আসবে তাদের সমূলে উৎপাটন করে শহীদের স্বপ্নকে ধ্রুব রাখবো ইনশাআল্লাহ। যারা হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে ফ্যাসিস্টের স্লোগান দিয়ে আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ওয়াসিম কিংবা হৃদয় তরুয়ার কুরবানীকে অপমান করেছে তাদের এক ন্যানো-পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা অতিসত্বর দুর্নীতিবাজ, ফ্যাসিস্ট আইনজীবী ও বিচারকদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে র আর্জি জানাই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে।
আমাদের এই ইনকিলাবের জন্য এক যুগের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। সেই স্বাদ গ্রহণ করার পূর্বেই কত বিপ্লবী প্রাণ শহীদী নাজরানা পেয়েছে! আমরা সেই স্বাধীনতা রক্ষার জন্য শহীদি আত্মার নিকট মরণপণ করছি। কিছুতেই দেশের মধ্যে কোন খুনি ফ্যাসিবাদী চরিত্রকে স্থান দেওয়া হবে না, জুলাই ইনকিলাবের প্রতি এটাই আমাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি।
স্মরণ রাখা জরুরি, আটাশ অক্টোবর থেকে ছত্রিশ জুলাই পর্যন্ত আমাদের এক দীর্ঘ লড়াই করতে হয়েছে। কত মায়ের কোল খালি হলো, কোনো কোনো মা জানেনই না সন্তান মৃত না কি জীবিত, কোনো মা এখনো মর্গে মর্গে লাশ খুঁজে বেড়ায়! আমরা সেই মায়ের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারি না। আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে চিরবিদ্রোহী প্রাণ। আমরা হবো দেশের বিনিদ্র পাহারাদার।
ইনকিলাব জিন্দাবাদ, আজাদী জিন্দাবাদ।