শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ত্রাণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুবদলকর্মী মারফত আলী শেখের বিরুদ্ধে। মারফত আলী শেখ উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের নামাবাতকুচি গ্রামের বাসিন্দা। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে ভুক্তভোগীরা মারফতের বিচার দাবি করে সংশ্লিষ্ট পোড়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মজিবুর রহমান চৌধুরীকে বিষয়টি জানান।
জানা গেছে, সম্প্রতি নালিতাবাড়ী উপজেলায় পাহাড়ি ঢলে পোড়াগাঁও ইউনিয়নের চেল্লাখালী নদী-তীরবর্তী নামাবাতকুচি গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ওই গ্রামে টাঙ্গাইলের মধুপুর থেকে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ত্রাণ হিসেবে অর্থ বিতরণ করতে আসে।
এ সময় যুবদল কর্মী মারফত আলী শেখ তাদের সঙ্গে ছিলেন। এতে ওই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত আবদুল জলিল, আজিজুল হক, আলম মিয়া ও খলিল মিয়াকে তিন হাজার টাকা করে অর্থ তুলে দেন ওই সংগঠনের নেতারা। অর্থ বিতরণ শেষে দাতা সংগঠনের নেতারা চলে যাওয়ার পর ত্রাণ বিতরণের অর্ধেক অর্থাৎ ১ হাজার ৫০০ টাকা করে মারফত আলী তার নিজের জন্য দাবি করেন। অর্থপ্রাপ্ত চারজনের মধ্যে দুজন ১ হাজার ৫০০ টাকা করে তিন হাজার টাকা দিলেও বাকি দুজন ১ হাজার ৫০০ টাকা করে দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে মারফতের কথাকাটাকাটি ও পরে একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এর পরই বিষয়টি আলোচনায় আসে।
ভুক্তভোগী আজিজুল হক বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র অসহায় মানুষ। আমাদের ত্রাণের টাকা মারফত নেবে কেন। আমাদের তারা অনুদান হিসেবে দিয়েছে। আমরা তার বিচার দাবি করছি।
পোড়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মজিবুর রহমান চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, ভুক্তভোগীরা বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। এ বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।
জানতে চাইলে মারফত আলী শেখ কালবেলাকে বলেন, ত্রাণের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ সঠিক নয়। আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া মাকসিম বলেন, মারফত আলীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ তদন্ত করা হবে। অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর দলীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শুধু মারফত আলী নয়, যার বিরুদ্ধেই এমন অভিযোগ পাওয়া যাবে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।