সুন্দরবনে লাগা সামান্য আগুন ছড়িয়ে পড়েছে ৫ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকাজুড়ে। আগুন লাগার ২৬ ঘণ্টা পেরোলেও এখনো নিভেনি আগুন। রোববার (৫ মে) সকাল ৯টা থেকে বনরক্ষী-ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি এ কাজে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড এবং বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পাশের ভোলা নদী থেকে পানি ওঠানোর জন্য পাইপ সংযোগ দিলেও নদীতে জোয়ার না থাকায় চাহিদা অনুযায়ী পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাগেরহাটের উপপরিচালক মামুন আহমেদ বলেন, রোববার (৫ মে) সকালেই সুন্দরবনের আগুন নেভাতে তাদের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসেছে। এর মধ্যে মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলার ৩টি ইউনিট কাজ শুরু করেছে। বাকি দুটি ইউনিট স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বনের পাশে ভোলা নদীতে এখন ভাটা থাকায় আগুন নেভানোর কাজে পাইপসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নেওয়া যাচ্ছে না। জোয়ার হলে এগুলো পার করা হবে। তবে আগুন অল্প অল্প করে জ্বলছে। শুকনো পাতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করার সম্ভাবনা নাই বলে জানান তিনি।
সুন্দরবনের আগুন নেভানোর কাজে বনরক্ষীদের পাশাপাশি অন্যরা কাজ করছে জানিয়ে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল করিম বলেন, ‘গতকাল নানা প্রতিকূলতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা যায়নি। তবে আজ (৫ মে) সকাল থেকে এ কাজ শুরু করা হয়েছে। এতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড এবং বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগ দিয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরাও সব রকমের সহযোগিতা করছেন।’
আগুন ব্যাপক এলাকা ছড়িয়ে যাওয়ার আগেই পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে বলে জানান বন বিভাগের এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার (৪ মে) পৌনে ৩টার দিকে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় বন বিভাগ।