সময় প্রবহমান। আর এই সময়ে ঘটে চলে নানা ঘটনা। কালের ধারায় এসব ঘটনা একসময় অতীত ঘটনা বা ইতিহাসে পরিণত হয়। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এই সব ইতিহাস চিন্তাচেতনা ও প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করে।
ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, পৃথিবীকে আলোকিত করেছেন অনেক জ্ঞানী-গুণী। বিশ্বজুড়ে ঘটেছে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ঘটনা। তবে সব ঘটনার ইতিহাসে ঠাঁই হয় না।
আজ রোববার, ২০ অক্টোবর ২০২৪। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা।
ঘটনাবলী :
৪৮০ – এথেন্স পোতাশ্রয়ের নিকটবর্তী সাগরে মালমিসের যুদ্ধ শুরু হয়।
১৭৯৮ – কায়রোর আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে মিশরের মুসলিম জনতা ও দখলদার ফরাশি সেনাদের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান করেছিল এবং ছাত্রসহ প্রায় ৩ হাজার মানুষ শহীদ হয়।
১৮১৮ – ব্রিটেন ও আমেরিকার মধ্যে সম্পাদিত এক চুক্তি বলে ৪৯ ডিগ্রি অক্ষরেখাকে আমেরিকা ও কানাডার সীমানা হিসাবে নির্ধারণ করা হয়।
১৮২৭ – ভূমধ্যসাগরের উত্তরাঞ্চলীয় নভারুন নামক উপসাগরে ব্রিটেন, রাশিয়া ও ফ্রান্সের সাথে ওসমানীয় খেলাফতের মধ্যে সমুদ্র যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
১৮৫৪ – অবিভক্ত বাংলায় প্রথম ডাকটিকিট বিক্রি শুরু হয়। ডাকটিকিটের চিত্রশিল্পী ছিলেন নুমারউদ্দীন।
১৯২২ – ইতালিতে বেনিতো মুসোলিনি ক্ষমতা দখল করেন।
১৯৪৪ – গুয়াতেমালায় গণ-অভ্যুত্থানে প্রতিক্রিয়াশীল একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটে।
১৯৪৪ – সোভিয়েট ইউনিয়নের বাহিনীর সাহায্যে যুগোশ্লাভিয়ার বাহিনী বেলগ্রেড মুক্ত করে।
১৯৪৫ – দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শেষের পর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে বার বার অভ্যন্তরীন সংঘর্ষ ঘটে। পুণ্যভূমির জন্যে সংগ্রাম চালানোর সঙ্গে সঙ্গে আরব দেশগুলো একীকরণ করতে চায়। মিশর, সিরিয়া, ইরাক, লেবানন নিয়ে আরব লীগ গঠন করা হয়।
১৯৬২ – নতুন করে ভারত-চীন সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
১৯৬৩ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিউবায় পণ্য রপ্তানি নিষিদ্ধ করে।
১৯৬৪ – আফগানিস্তানের পার্লামেন্ট নতুন সংবিধান অনুমোদন করে।
১৯৭০ – সোভিয়েত রকেট লুনা-১৬ চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে।
১৯৭১ – ভারত-যুগোস্লাভিয়ার যুক্ত ইশতেহারে রাজনৈতিক সমাধানের ওপর জোর দেওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট টিটো উপমহাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য শেখ মুজিবের মুক্তির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
১৯৯১ – ভয়াবহ ভূমিকম্পে ভারতের উত্তর প্রদেশের তিনটি জেলায় সহস্রাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটে।
১৯৯২ – আহসান মঞ্জিল জাদুঘর উদ্বোধন করা হয়।
১৯৯৬ – অন্ধ্রপ্রদেশে বন্যায় ৩০০ গ্রাম ডুবে যায় ও ২০০ জন মারা যায়।
২০০৫ – বাংলাদেশের জগন্নাথ কলেজ পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় রূপে পরিগণিত হয়।
জন্ম :
১৭৮৬ – উইলিয়াম কেরির পুত্র ও বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানবিষয়ক রচনার পথিকৃৎ এবং এনসাইকোপিডিয়া ব্রিটানিকার পঞ্চম সংস্করণের বঙ্গানুবাদক ফেলিক্স কেরি।
১৮২২ – লেখক টমাস হিউজ।
১৮৫৯ -
যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি, বাঙালি পণ্ডিত ও বাঙলা শব্দকোষ প্রণেতা।
দার্শনিক ও শিক্ষাতাত্ত্বিক জন ডিউয়ি।
১৮৭১ – অতুলপ্রসাদ সেন, বাঙালি কবি, গীতিকার এবং গায়ক।
১৮৯১ – জেমস চ্যাডউইক, ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী ও নিউট্রনের আবিষ্কারক।
১৯০৭ – ইংরেজ লেখক ও সমালোচক ক্রিস্টোফার কডওয়েল।
১৯১৪ – ভূপেশ গুপ্ত, বাঙালি, কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম নেতা এবং বিশিষ্ট সাংসদ।
১৯২০ – সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়,প্রখ্যাত ব্যারিস্টার, ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, পাঞ্জাবের রাজ্যপাল ও পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
১৯২০ – অখিলবন্ধু ঘোষ, বিখ্যাত বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী।
১৯৩৯ – ওমর আলী, বাংলাদেশী বাঙালি রোম্যান্টিক কবি।
১৯৬৭ – মনিকা আলী, বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক ও ঔপন্যাসিক।
২000 – আশফাকুল হক (আশফাক) বাংলাদেশী বাঙালি কবি।
মৃত্যু :
৯০৯ – ইসলামি ফেকাহ শাস্ত্রবিদ মোহাম্মদ ইবনে দাউদ জাহেরি।
১৮৫৪ – ফরাসি কবি জ্যাঁ আর্তুর র্যাবো।
১৮৯০ – পর্যটক ও লেখক স্যার রিচার্ড বার্টন।
১৯৬১ – বিরজাশঙ্কর গুহ, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় বাঙালি নৃ-বিজ্ঞানী।
১৯৬৪ – হার্বার্ট হুভার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩১তম রাষ্ট্রপতি।
১৯৮৯ – স্যার জন অ্যান্থনি কোয়েল, ইংরেজ অভিনেতা ও মঞ্চ নির্দেশক।
১৯৯২ – চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক কাজী জহির।
১৯৯৪ – কমিউনিস্ট নেতা বারীন দত্ত।
২০১২ – অলি আহাদ, বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের ভাষা সৈনিক।