দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।
তিনি বলেন, মানুষের ওপর কোনো অন্যায়-অত্যাচার করা যাবে না। বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ মানুষের ওপর অন্যায়-অত্যাচার করেছে। এ কারণে আওয়ামী লীগের সব কর্মকাণ্ড মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলীয় শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছেন। তাই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে সংগঠনের কোনো নেতাকর্মীকে ছাড় দেওয়া হবে না।
রোববার (২০ অক্টোবর) বিকেলে যশোর বিডি হলে জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে দিকনির্দেশনামূলক’ যৌথ কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোনায়েম মুন্না এসব কথা বলেন।
যুবদল সভাপতি আরও বলেন, এই যশোরে আওয়ামী গুণ্ডাতন্ত্রের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ছিলেন শাহীন চাকলাদার। একজন উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে শাহীন চাকলাদার সারা দেশে অনেক কুখ্যাতি অর্জন করেছিল। অনেক অবৈধ অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশে সবচেয়ে দুজন ধনী উপজেলা চেয়ারম্যানের একজন যশোর সদরের শাহীন চাকলাদার, অন্যজন কেরানীগঞ্জের শাহীন। শাহীন চাকলাদার অবৈধ উপার্জনের টাকায় যশোর ও ঢাকায় ‘জাবের’ নামে দৃষ্টিনন্দন দুটি হোটেল করেছিল। যশোরের এই কুখ্যাত গুণ্ডা শাহীন চাকলাদার কীভাবে পালিয়ে গেল?
আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিগত দিনে এই যশোরে যারা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করুন। একই সঙ্গে পালিয়ে থাকা যশোরের যুবলীগ-ছাত্রলীগের অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করুন। পাশাপাশি বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে যারা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের হত্যা, খুন, জখম করেছে- তাদেরও গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
মোনায়েম মুন্না বলেন, কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার দায়িত্ব নিয়ে নেতাকর্মীদের কাজ করতে হবে।
যশোর জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদের সভাপতিত্বে এবং জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পির যৌথ সঞ্চালনায় কর্মিসভায় আরও বক্তব্য দেন- ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, যুবদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক গাজী সাদ্দাম হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রবিউল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর প্রমুখ।