ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, বিতাড়িত শেখ হাসিনা সরকার যে পরিমাণ টাকা লটুপাট ও পাচার করেছে তা দিয়ে দেশের চেহারা পাল্টে দেওয়া সম্ভব ছিল। তারা এসব টাকা দিয়ে বিদেশে বেগমপাড়ায় নিজেদের আস্তানা গেড়েছে। তারা দেশের মানুষের কথা কখনই চিন্তা করেনি।
রোববার (২০ অক্টোবর) বিকেলে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা মাঠ প্রাঙ্গণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ভারতের ইসলাম বিদ্বেষী শাসক মোদির সঙ্গে তারা যেসব চুক্তি করেছিল তার একটা চুক্তিও বাংলাদেশের স্বার্থের জন্য করেনি। বরং সব স্বার্থ ভারতকে দিয়ে আসছে। আমরা এসবের অবসান চাই। আমরা ইসলামী আন্দোলন দল হাতপাখা মার্কা নিয়ে দেশের মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে আন্দোলন করে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের পূর্ণ সমর্থন আমাদের চলার ভিতকে মজবুত করবে।
তিনি আরও বলেন, এদেশের ৯২ শতাংশ মুসলমান। কিন্তু সেই দেশের মধ্যে মুসলিম আলেমগণ আওয়ামী লীগের আমলে স্বাধীনভাবে কথাটুকুও বলতে সুযোগ পায়নি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এমন এক নীতি আদর্শ লালন করে যে নীতি আদর্শের মাধ্যমে দুনিয়াতে মিলবে শান্তি, আখিরাতে মিলবে মুক্তি।
দেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে বহু উত্থান-পতন নজীর টেনে তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কখনোই নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থের জন্য ইসলামকে নিচে রেখে দেশকে অকার্যকর করার জন্যে কারও সঙ্গে আঁতাত করেনি। বাংলাদেশের মধ্যে ৯২ শতাংশ মুসলমান বসবাস করে কিন্তু এক সময় তাদের ধুতি পরে চলতে হতো।
কিন্তু ৫ আগস্ট দেশ যখন দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলো তখনো একটা শ্রেণির মায়াকান্না, যা এখনো বন্ধ হয়নি। এই সময় একটি স্বার্থান্বেষী মহল চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করছে। এসব করে কোনো লাভ নেই। জনগণ আর দ্বিতীয়বার ভুল করবে না। দেশের জন্য যারা কাজ করবে তাদের সাঙ্গেই তারা থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ গণসমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কাজিপুর উপজেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবু জাফর সরকারের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধান মেহমান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ -এর নায়েবে আমির ও মুহাদ্দিস জামিল মাদ্রাসা বগুড়ার মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, বিশেষ অতিথি সংগঠনের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ, সহসভাপতি মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুফতি শেখ মুহাম্মদ নুরুন্নবী প্রমুখ।