সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের ৯ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, দুই সিটি মেয়র ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানও আসামি। রোববার (২০ অক্টোবর) বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় এ মামলা করেন।
মামলার বাদী জিয়াউদ্দিন সিকদার জানান, কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ জমা দিলেও কিছু ভুল-ভ্রান্তি থাকায় মামলা দায়ের হয়নি। এরপর তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তলব করে বিচারক মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন। এরপর চলতি মাসে দ্বিতীয় দফায় থানায় অভিযোগ জমা দেন বাদী জিয়াউদ্দিন সিকদার।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে রোববার মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া নামধারী আরও ৫০৩ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের সশস্ত্র ক্যাডার। সাধারণ মানুষ প্রধান আসামি শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী আচরণের কোনো প্রতিবাদ করলেই অন্য আসামিরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তেন। ঘটনার আগে থেকেই ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে স্তব্ধ করার জন্য এক নম্বর আসামির হুকুমে অন্য আসামিরা অস্ত্রের মহড়া দিয়ে আসছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৯ জুলাই নগরের দুপুরে সিঅ্যান্ডবি সড়কে বিএনপি শোক র্যালি বের করে। ছাত্র-জনতাকে নিয়ে বের করা শোক র্যালি নস্যাৎ করতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আসামিরা সশস্ত্র অবস্থায় বিস্ফোরক দ্রব্য ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা চালান।
আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের হাতে থাকা পিস্তল, শটগান ও রিভলভার দিয়ে গুলি করেন। পরে মামলার বাদীর কাছ থেকে লাইসেন্স করা পিস্তল ও নগদ প্রায় তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকেসহ (বাদী) বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করেন।