বান্দরবানের থানচি উপজেলায় ২৪ অক্টোবর থেকে জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে ১ হাজার ২৩৫ জন কিশোরীকে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে শিক্ষার্থী রয়েছে ৮১৯ জন। বাকি ৪১৬ জন স্কুলবহির্ভূত কিশোরী।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সমন্বয় সভায় থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা পঙ্কল বড়ুয়া সঞ্চালনায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ আছিফ উদ্দিন মিয়া।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন, ব্র্যাক ম্যানেজার প্রিয়লাল চাকমা, সমাজসেবা প্রতিনিধি মেনতাং ম্রো, মহিলাবিষয়ক প্রতিনিধি ইমরান।
সভায় জানানো হয়েছে, থানচিতে ৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাতটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং ১০-১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট বয়সী ও নির্ধারিত শ্রেণিতে অধ্যয়নরত কিশোরীরা ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে টিকাকার্ড সংগ্রহ করতে পারবে। পরে ওই কার্ড দেখিয়ে টিকার ডোজ নিতে হবে। আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে উপজেলা জুড়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ১৮ দিনব্যাপী টিকা কার্যক্রম চলবে।
সভায় আরও জানানো হয়েছে, বাল্যবিবাহ, ঘন ঘন সন্তান প্রসব, একাধিক যৌনসঙ্গী, ধূমপায়ী, যেসব নারী প্রজনন স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতন নন এবং সমস্যার প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসকের অথবা স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ নেননি তাদের জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বাংলাদেশে প্রতি এক লাখ নারীর ১১ জন জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হন। প্রতি বছর প্রায় ৪ হাজার ৯৭১ জন নারী এ রোগে মারা যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, ২৪ তারিখ থেকে থানচি উপজেলা ১৮ দিনব্যাপী এ টিকা কার্যক্রম চলবে। দুর্গম উপজেলা হওয়া কারণে প্রয়োজনে আরও সময় বাড়িয়ে টিকা প্রদান করা হবে। এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে ইপিআই সেকশনের সঙ্গে এ টিকা প্রদান করা হবে।