কুমিল্লার দেবিদ্বারে প্রবাসী স্বামীকে তালাক দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশনে বসেছেন এক তরুণী।
শনিবার (১১ মে) সকাল ১০টায় উপজেলার ধামতি ইউনিয়নের সোতপুকুরিয়া গ্রামের মাঝি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পাভেল মাঝি ধামতি ইউনিয়নের সোতপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, ওই তরুণীর সঙ্গে যুবক পাভেল মাঝির চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক। গত তিন মাস আগে পাভেল মাঝির বিয়ের প্রলোভনে পরে প্রবাসী স্বামীকে তালাক দেন ওই তরুণী। এদিকে পাভেলের পরিবার এ বিয়ে মানতে রাজি না হওয়ায় ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় পাভেল। পরে শনিবার সকালে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসে ওই তরুণী।
অনশনে বসা তরুণী অভিযোগ করে বলেন, পাভেলের সঙ্গে আমার চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক। বিভিন্ন সময়ে আবাসিক হোটেলে আমাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। এমনকি আমার বাড়িতে এসেও আমার সঙ্গে রাতে থেকেছে। এসব কিছু পাভেলের পরিবার জানত। সে একটি মসজিদের হুজুর ডেকে আমার সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু সে চালাকী করে কাবিন বা কোনো কাগজপত্র করেনি। আমি তাকে খুব বিশ্বাস করতাম। আমার প্রবাসী স্বামী যে টাকা-পয়সা আমার কাছে পাঠাত আমি সব তার পেছনে খরচ করেছি।
তিনি বলেন, আমার স্বামীকে ডির্ভোস না দিলে সে নাকি আমাকে বিয়ে করতে পারবে না। তার চাপে পড়ে গত তিন মাস আগে আমার প্রবাসী স্বামীকে ডির্ভোস দিয়েছি। আমি এখন সব হারিয়ে নিঃস্ব। আগের স্বামীর কাছেও যেতে পারছি না, পাভেলের কাছেও ঠাঁই নেই, আমি বাধ্য হয়ে তার বাড়িতে এসেছি। পাভেল যদি আমাকে বিয়ে না করে আমি এ বাড়িতে আত্মহত্যা করব। আমার জীবন আমি শেষ করে দেব।
এ বিষয়ে পাভেলের মা বলেন, কোনো অবস্থাতেই আমি এ বিয়ে মানব না। ওই মেয়ের আরও আগে কয়েকটি বিয়ে হয়েছে। আমার ছেলেও যে ভালো তা বলছি না, দুজনই খারাপ।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমি আগে থেকেই জানতাম। মেয়ের বাবা ছেলেপক্ষের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেছে শুনেছি। আজ মেয়ে যে ওই ছেলের বাড়িতে গেছে তা আমি জানি না।
রাজামেহার ইউপি চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন সরকার বলেন, একজন ইউপি সদস্য পাঠিয়েছি ছেলের বাড়িতে। উভয়পক্ষকে নিয়ে রাতে বসে সমাধান করা হবে।
দেবিদ্বার থানার ওসি মো. নয়ন মিয়া কালবেলাকে বলেন, এ বিষয়ে কোনো পক্ষই আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।