গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় একটি বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় কেউ পাস করেনি। এতে প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। এদিকে এ ফলাফল নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (১৩ মে) শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. রোকসানা বেগম।
তিনি মুঠোফোনে বলেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৪ জন শিক্ষার্থী এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কোনো শিক্ষার্থীই পাস করেননি। ৯ জন শিক্ষার্থী গণিতে ও পাঁচ জন শিক্ষার্থী অন্য বিষয়ে ফেল করেছেন। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সংখ্যা ১৩ জন। কেন এমন ফলাফল হলো, সে বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে এবং ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারণ জানাতে বলা হয়েছে। ফেলের কারণ জানার পর শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, ‘শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলে যাতায়াত করলে আজ ১৪ শিক্ষার্থীর এমন পরিস্থিতি শিকার হতো না। শিক্ষকরা সঠিকভাবে ক্লাস নিলে সবাই পাস করতো।
এ বিষয়ে ঘগোয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হাকিম মিয়ার সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, বিদ্যালয়টি অনেক পুরাতন। ২০০৫ সালের দিকে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়। এমন ফলাফলের বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হাকিম জানিয়েছেন, বিদ্যালয়টি আসলে চরাঞ্চলে ও প্রায় শিক্ষার্থী দরিদ্র পরিবারের। ফলে তারা অনেক সময় বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতেন না। যদিও এ বছর ফলাফল এমন হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি নিয়ে বোর্ডে যোগাযোগ করে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।
সুশান্ত কুমার মাহাতো আরও বলেন, তবে ওই বিদ্যালয় থেকে গত বছর ১৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ জন পাস করেন। তার আগের বছর ২১ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেন ১৭ জন। এ রকম ভরাডুবি কখনও হয়নি এ বিদ্যালয়ে। কেন এমন ভরাডুবি ফলাফল হলো সেটির কারণ জানতে প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।