29 C
Dhaka
Thursday, November 21, 2024

জলবায়ু তহবিল জাতিসংঘের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ টিআইবির

গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিএসএফ) বা সবুজ জলবায়ু তহবিল বাংলাদেশের প্রাপ্য অর্থ অন্যায়ভাবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। জাতিসংঘের অধীনস্থ এ সংস্থা দুর্নীতির অভিযোগ থাকার পরও জাতিসংঘেরই আরেক সংস্থা ইউএনডিপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে পুনরায় তাদের অর্থ ছাড় দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন ও বিধি ভঙ্গ করে বাংলাদেশি সংস্থার অর্থায়নে ধীরগতি, কম সুবিধা দেওয়া এবং নিবন্ধন না দেওয়ার প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছে টিআইবি।

মঙ্গলবার (১৪ মে) ঢাকার মাইডাস সেন্টারে ‘সবুজ জলবায়ু তহবিলে বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশের অভিগম্যতা : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশকালে এ অভিযোগ করা হয়।

আরো পড়ুন  মানুষটার শরীর দেখে বুয়েটের আবরারের কথা বারবার মনে পড়েছে : সারজিস

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জাতীয় সংস্থাকে ঋণ আর আন্তর্জাতিক সংস্থাকে বেশি করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এতে বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ঋণের বোঝা বেড়ে যাচ্ছে। জিএসএফ দুর্নীতিগ্রস্ত এই অর্থে যে তারা নিজস্ব নীতিমালা লঙ্ঘন করছে। স্বেচ্ছাচারিতা ও বৈষম্যমূলক কাজ করছে। তারা তাদের পারফরম্যান্সে ফেল করছে। কাজেই ক্ষমতার অপব্যবহার বলতে যা বোঝায়, তা হচ্ছে বলেই প্রতীয়মান হয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে দুর্নীতি একটি বাস্তবতা। এই বাস্তবতা আমরা মেনে নেইনি, নেব না। তবে এটিকে পুঁজি করে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রাপ্য অর্থায়ন থেকে বঞ্চিত করতে হবে, করা হবে- এটি আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

আরো পড়ুন  রাস্তা বন্ধ করে কোটাবিরোধী আন্দোলন করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: ডিএমপি

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সবুজ জলবায়ু তহবিলের ভূমিকা হতাশাজনক। জিএসএফে জবাবদিহি করার মতো কোনো অবকাঠামো নেই। প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব নীতিমালা লঙ্ঘন ও বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। জিএসএফের ত্রুটি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের দেন-দরবারের সুযোগ রয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বাংলাদেশের যে অর্থ প্রয়োজন, জিএসএফের মাধ্যমে সিংহভাগ আসার কথা। কিন্তু জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো সুফল পাচ্ছে না। তারা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে বেশি অর্থায়ন করছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতি প্রতিরোধে জিএসফের জিরো টলারেন্স নীতি থাকলেও ইউএনডিপির মতো বড় প্রতিষ্ঠানের জলবায়ু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ অমীমাংসিত রেখে তাদের পুনঃস্বীকৃতি দিয়েছে। জিএসএফ ইউএনডিপিকে সর্বোচ্চসংখ্যক প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। জিসিএফের ঋণের অর্থ বিদেশি মুদ্রায় সুদের সঙ্গে ফেরত দিতে হয়, যা ঋণগ্রহীতা দেশগুলোর বহিস্থ ঋণের বোঝা বাড়ায়। এর ফলে স্থানীয় মুদ্রার ওপর চাপ সৃষ্টিসহ জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।

আরো পড়ুন  ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিদায় নিচ্ছে মৌসুমি বায়ু

এতে জানানো হয়, তহবিল বাংলাদেশের জাতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের অসম প্রতিযোগিতা বিরাজ করছে। দুর্নীতি প্রতিরোধসহ জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতার ঘাটতির অজুহাতে জিসিএফ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশে বেশি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

এসময় সংস্থাটির কান্ট্রি ওনার শিপ-নীতিমালা স্পষ্ট করা, তহবিল বাড়ানো, জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবেদনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়াসহ বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

সর্বশেষ সংবাদ