রাজধানীতে এক পুলিশ কর্মকর্তার বহুতল ভবনে অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করা হয়। অভিযানে বারবার বিচ্ছিন্ন করা হলেও পরবর্তীতে ফের সংযোগ নেয়া হয় ভনটিতে। আইনের লোকের এমন বেআইনি কর্মকাণ্ডে বিরক্ত তিতাস কর্মকর্তারা। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত।
রাজধানীর খিলক্ষেতের ৮তলা ভবনটির অবৈধ গ্যাস সংযোগ এর আগে কয়েকবার বিচ্ছিন্ন করা হলেও পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। বুধবার (১৫ মে) ফের অভিযানে নামে তিতাস কর্তৃপক্ষ। এদিন কেয়ারটেকার জানান, ভবনটির মূল মালিক নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক। তবে নথিপত্রে মালিক তার স্ত্রী শারমীন আক্তার বিথী।
তিতাস গ্যাসের একজন কর্মকর্তা বলেন, অফিশিয়ালি ভবনটিতে কোনো সংযোগ দেয়া হয়নি। এখন তিনি পুলিশ সদস্য হয়ে কীভাবে আইন ভাঙলেন বা প্রয়োগ করলেন, সেটি বলতে পারব না আমি।
তিতাস গ্যাসের মহাব্যবস্থাপক মো. রশিদুল আলম বলেন, ভবনটিতে ২৫টি অবৈধ গ্যাসের চুলা রয়েছে। সকালেও ব্যবহার করেছে।
ভাড়াটিয়ারা জানান, বাড়ির মালিককে বিল দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই গ্যাস সংযোগেই রান্না করে আসছিলেন তারা। এক ভাড়াটিয়া বলেন, বিল্ডিংয়ে উঠার সময় স্যার বলেছে লাইনের গ্যাসই দেয়া হবে।
এদিকে সব অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ কর্মকর্তা সিদ্দিক দাবি করেন, তার বাড়িতে কোনো অবৈধ গ্যাসের সংযোগ নেই। তিনি বলেন, যে অবৈধ্য সংযোগ ছিল তা আগেই কেটে দেয়া হয়েছে। তারপর আমি আর অবৈধ গ্যাস সংযোগ নেইনি।
এছাড়া এই কর্মকর্তা জানান, বৈধ গ্যাস সংযোগ পেতে তার আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।