কুমিল্লার লালমাইয়ে একটি আলুর হিমাগারে অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা ২১ লাখ পিস ডিম ও ২৪ হাজার কেজি মিষ্টির খোঁজ পেয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে এসব পণ্য বিপণনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে উপজেলার বরল এলাকার মেঘনা হিমাগারে অভিযান পরিচালনা করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শাওন ও কুমিল্লা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম।
এ সময় অবৈধভাবে মজুদ এবং লাইসেন্সবিহীন হিমাগারে খাদ্যদ্রব্য মজুদ করার দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত। আর অবৈধভাবে মিষ্টি রাখার দায়ে আরও ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা ভোক্তা অধিকার সূত্রে জানা যায়, অবৈধ হিমাগারটিতে যে পরিমাণ ডিম মজুদ করা হয়েছে তাতে বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করা সম্ভব। এছাড়া অবৈধ প্রক্রিয়ায় ড্রামে করে বিপুল পরিমাণ মিষ্টি মজুদ করা হয়েছে, তা স্বাস্থ্যকর কিনা বিষয়টি নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। যারা মেঘনা হিমাগারে মিষ্টি রেখেছিলেন তাদের মধ্যে খোঁজ পাওয়া চার ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে, বাকিদেরকেও খুঁজছে ভোক্তা অধিকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শাওন বলেন, বিপুল পরিমাণ ডিম কোন কোন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা এবং কত দিন যাবত মজুদ করা হচ্ছিল, কোল্ডস্টোরেজ কর্তৃপক্ষ জানাতে পারেনি। আর কোল্ডস্টোরেজটির কৃষি বিপণনের লাইসেন্স না থাকায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব পণ্য বিপণনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোঃ.জাকারিয়া ৪৮ ঘণ্টা পর এই বিষয়ে প্রতিবেদন দেবেন- এসব পণ্য সঠিকভাবে সঠিক সময়ে খালাস হয়েছে কি না।
কুমিল্লা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম বলেন, আলু রাখার হিমাগারে বিপুল পরিমাণ ডিম ও মিষ্টি মজুদ করে রাখা হয়েছিল। ৫ হাজার বান্ডেলে ৪২০টি করে ডিম সেখানে রাখা ছিল। এছাড়া ৮০০ ড্রামে করে প্রতি ড্রামে ৩০ কেজি করে ২৪ হাজার কেজি মিষ্টি রাখা হয়েছিল, যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং ভোক্তা অধিকার বিরোধী।