মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাতভর মিয়ানমারের ওপার থেকে বিস্ফোরণের কোনো শব্দ শোনা না গেলেও শনিবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে থেমে থেমে বাংলাদেশে আসছে বিস্ফোরণের শব্দ। এতে করে আতঙ্কে রয়েছেন কক্সবাজারের টেকনাফের সীমান্ত এলাকার মানুষ। সতর্ক অবস্থানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সীমান্তবাসী বলছেন, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মংডু শহরের আশপাশ থেকে ভারী গোলাবর্ষণের শব্দ পাওয়া গেছে। রাতভর শান্ত থাকলেও শনিবার দিনব্যাপী থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছে সীমান্ত এলাকা।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের ওপার থেকে কখনও শান্ত আবার কখনও থেমে থেমে বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর রাতভর শান্ত ছিল। শনিবার সকাল থেকে আবারও শোনা যাচ্ছে। এতে সীমান্ত এলাকার মানুষদের আতঙ্ক কমেনি।
টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে মিয়ানমারের যুদ্ধ চলছে। এপারে বিকট শব্দ ভেসে আসছে। এর কারণে সীমান্তে বসবাসকারী মানুষের মাঝে ভয়ভীতি কমেনি। এরমধ্যে বিভিন্ন পযেন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি এলাকার মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। কোনো অপরিচিত লোকজন দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ রইল।’
বিজিবির টেকনাফস্থ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত চলমান রয়েছে। যার কারণে টেকনাফ সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। টহল জোরদারের পাশাপাশি সদস্যও বাড়ানো হয়েছে। আর নাফ নদী হয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিপি কিংবা রোহিঙ্গা নাগরিক কেউ অনুপ্রবেশ করেনি।
কাউকে সীমান্ত দিয়ে এপারে অনুপ্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।