ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ফকির লালন শাহের গান ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, আজকের যে শিশুরা লালনের গান শিখছে তা যেন ধরে রাখে সে লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে। ফকির লালন শাহকে চিনতে হবে, তার গানকে ধরে রেখে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে, করতে হবে জনপ্রিয়। যারা লালন শাহকে ভালোবাসেন সবাই তার গানকেও ভালোবাসেন। তাই লালনের গানে কোনো পরিবর্তন নয়।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকালে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় নবপ্রাণ আখড়াবাড়ীতে ফকির লালন সাঁইজীর ১৩৪তম তিরোধান দিবসে ভক্তি গীতি সুধা ‘পারে লয়ে যাও আমায়’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, লালনের গানে বড় কোনো শিল্পী নয়, দরকার ভাবের। যে ভাব নিয়ে তারা গান গায় এজন্য বড় শিল্পীর দরকার হয় না। এ জন্যই মঞ্চ উন্মুক্ত, সবাই গান করছে, গান শুনছে। আমাদের মাঝে সাধু-গুরুরা থাকেন। তারা জানেন গানের কথার অর্থ কী এবং তাদের গান আমরা শুনি। মূল কথা হলো আজকের এই মঞ্চ হলো সাধকদের মঞ্চ।
বক্তারা বলেন, ফকির লালন শাহ ছিলেন সাধক। তিনি সব সাধকের উপরে ছিলেন। তার বাণী সমাজের সব ক্ষেত্রে বিদ্যমান।
তারা আরও বলেন, নয়াকৃষি কৃষকদের আন্দোলন। বিষ কোম্পানির প্ররোচনায় কৃষিতে বিষ ব্যবহার বন্ধ করে এবং পরিবেশ ও প্রাণের কোনো ক্ষতি না করে চাষাবাদ কিভাবে করা যায় কৃষকদের সেই চেষ্টা থেকে নয়াকৃষি আন্দোলনের শুরু। আগামী প্রজন্মকে বিষমুক্ত খাদ্য পরিবেশন করে কিভাবে সম্ভাবনাময় নতুন বাংলাদেশ গড়া যায় সেলক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানান তারা।
এ সময় আরও বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার, বিশিষ্ট কবি, দার্শনিক, মানবাধিকার কর্মী ফরহাদ মজহার, কুষ্টিয়ার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোছা. শারমিন আখতার, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।