এবার তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে যুক্ত হওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি। এরইমধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৭০ শতাংশের বেশি। ২০২৫ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সুবিধা পাওয়া যাবে। ওই সময়ে প্রথম বেসরকারি সাবমেরিন ক্যাবলেও যুক্ত হবে বাংলাদেশ। প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, এই দুই কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে অতিরিক্ত ৪৫ হাজার জিপিবিএস ব্যান্ডউইথের সক্ষমতা তৈরি হবে।
ফাইভ-জি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সসহ নানা উন্নত প্রযুক্তি হাতছানি দিচ্ছে। নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসির পূর্বাভাস বলছে, ২০২৫ সাল শেষে ব্যান্ডউইথের ব্যবহার বেড়ে দাঁড়াবে ৩৪ হাজার জিবিপিএসে। ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে দ্রুত সি-মি-ইউ সিক্স কনসোর্টিয়াম বা তৃতীয সাবমেরিন ক্যাবলের সুবিধা পেতে চাইছে বালাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সেবা পাবে বাংলাদেশ। এরমাধ্যমে ১৩ হাজার ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ পাওয়া যাবে-এমনটি প্রত্যাশা বিএসসিপিএলসি’র।
সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহম্মদ বলেন, ইতোমধ্যে ৭১ শতাংশ কাজ অর্জিত হয়েছে। আমরা কক্সবাজারে এ জন্য নতুন ভবন নির্মাণ করেছি। আরেকটা টেন্ডারের কাজ মাস ছয়েকের ভেতরেই শেষ হয়ে যাবে। আগামী নভেম্বরের মধ্যে ব্রাঞ্চ কেবল এবং কোর কেবলের কাজ শেষ হয়ে যাবে।
২০০৬ সালে প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে যুক্ত হয় বাংলাদেশ। আর দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে ২০১৭ সালে। ২০২৫ সালে রাষ্ট্রায়াত্ত তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের পাশাপাশি একই বছর, প্রথমবারের মত বেসরকারি খাতের সাবেমেরিন ক্যাবলের সাথেও যুক্ত হবে বাংলাদেশ। লাইসেন্স প্রাপ্ত ৩টি প্রতিষ্ঠানের এই জোটের উদ্যোক্তারা বলছেন, বেসরকারি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে, অতিরিক্ত ৪৫ হা্জার জিবিপিএস ব্যান্ডউইথের সক্ষমতা অর্জন করবে বাংলাদেশ।
জানতে চাইলে যমুনা নিউজকে মেটাকোর সাবকম লিমিটেডের পরিচালক আমিনুল হাকিম বলেন, এই ক্যাবলটি মূলত সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশের সাথে যুক্ত হবে। ইতোমধ্যে ৩০-৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে। সিঙ্গাপুর থেকে বেশ অনেকটা কেবল চলেও এসেছে। বাংলাদেশের অংশের মেরিন সার্ভেও শেষ হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী জুলাই মাসের মধ্যে কেবলিংয়ের কাজ শুরু হয়ে যাবে।
বর্তমানে দেশে ব্যান্ডউইথের ব্যবহার সাড়ে ৫ হাজার জিবিপিএস। এরমধ্যে আড়াই হাজার জিবিপিএস সরবরাহ করা হয় রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠান বিএসসিপিএলসির দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে। বাকিটা বেসরকারি আইটিসি অপারেটরের মাধ্যমে ভারত থেকে আমদানি করা হয়।