ফের বিতর্কের মুখে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এ নির্বাচন নিয়ে নতুন করে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার। সম্প্রতি ভোটের ফল স্থগিত চেয়ে আদালতে রিট করেছেন তিনি। তার রিটের প্রেক্ষিতে স্থগিত হয়েছে বিজয়ী প্রার্থী মনোয়ার হোসেন ডিপজলের সাধারণ সম্পাদক পদ। আপাতত এই পদে তিনি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। এ দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে শিল্পী সমিতির সহসভাপতি চিত্রনায়ক ডি এ তায়েবের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
তবে নিপুণের হুমকি হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন ডি এ তায়েব। এক অডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘সাইবার ক্রাইম মামলার মেরিট কি, ভেতরে কি থাকতে হয় উনি তা বোঝেন না। খন্ডিত বক্তব্য কখনো সাইবার ক্রাইম মামলা হয় না। উনি মামলাবাজ নামে ইতোমধ্যে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন।’
সম্প্রতি মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে এক সাক্ষাৎকারে অশিক্ষিত বলেছেন ভোটে পরাজিত নিপুণ আক্তার। এর আগে নাকি চিত্রনায়ক শাকিব খানকেও অশিক্ষিত বলেছিলেন নিপুণ, দাবি তায়েবের।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ডিপজল ভাই নিঃসন্দেহে চলচ্চিত্রের অনেক বড় একজন মানুষ। তাকে চলচ্চিত্রের মুভি লর্ড বলা হয়। আর শাকিব খান দেশের এক নম্বর সুপারস্টার। এই দুজনকে তিনি (নিপুণ) একবার করে অশিক্ষিত বলেছেন।’
যোগ করে তায়েব আরও বলেন, ‘অপু বিশ্বাস-জয় চৌধুরীকে মা-ছেলে বলেছেন। তার মুখে এসব ভাষা মানায়? এক সাংবাদিককে বলেছিলেন— এই আপনার কুরকুরানি উঠছে। কুরকুরানি কমিয়ে আসেন। আনাড়ি মামলাবাজ মহিলা, সে নিজে চলে না তাকে একজন চালায়। তার পক্ষে এখন একটা লোকই আছে, আর কেউ নাই। আমাদের এফডিসির সঙ্গে জড়িত সে তাকে চালায়।’
নিপুণের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই অভিনেতা বলেন, ‘উনি বোঝেন না মামলা কাকে বলে। আমার সারাদেশের ভক্তরা তার (নিপুণ) বিরুদ্ধে মামলা করতে চাচ্ছেন। তারা যদি মামলা করেন তাহলে তার জেলায় জেলায় হাজিরা দিতে দিতে দিন পার হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ, একদিনে উনার ২-৩টা মামলার তারিখ পড়বে।
তায়েব বলেন, তার বোঝা উচিত ছিল যে আমাকে শিল্পী সমিতির মুখপাত্র করা হয়েছে। কমিটির সিদ্ধান্ত আমি প্রেসকে বলেছি। আমার কথা বলে যে ভাষণ দিয়েছেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যদিও উনি এরকমই করেন। ভালো কিছু শিখেছেন বলে মনে হয় না। তার রাশিয়ায় পড়াশোনা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। ডিপজল ভাই ও শাকিব খান যদি অশিক্ষিত হন, তাহলে তার শিক্ষার সার্টিফিকেট যেন পোস্ট করে ভাইরাল করে দেন। এটা আমরা দেখতে চাই।’
এই চিত্রনায়ক বলেন, ‘উনার অভিনয় আমি কখনো দেখি নাই। শুনেছি ২৬-২৭ বছর নাকি তার ক্যারিয়ারের বয়স। আর আমার সিনেমার ক্যারিয়ার ৭ বছর। উনি আমার জনপ্রিয়তা নিয়ে ঈর্ষাণ্বিত হয়েছেন, এটা মানতে চান না। গত মেয়াদে যখন আমার টাঙ্গাইলের বাড়ি গিয়ে জোর করে সাইন এনে তার প্যানেলে সহসভাপতি পদে নির্বাচন করান তখন আমার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ছিল। এখন জনপ্রিয়তা নেই কেন?’
শুরুতে ডিপজলকে অশিক্ষিত বললেও পরবর্তীতে মিশা সওদাগরকেও মূর্খ বলেছেন নিপুণ। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘মিশা-ডিপজল দুজনেই মূর্খ। তাদের সঙ্গে কথা বলার কোনো ধরনের ইচ্ছাই আমার নেই। তাছাড়া মিশা ভাই তো ভীষণ মিথ্যুক একজন মানুষ। উনাদের সঙ্গে এখন এই বিষয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে কথা হবে। এটাই সবচেয়ে ভালো উপায়।’ নিপুণের এ বক্তব্য ঘিরে চলচ্চিত্রপাড়ায় চলছে পক্ষে-বিপক্ষে সমালোচনা।