ইরানের রাজধানী তেহরানে প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসির জানাজার আয়োজন করা হচ্ছে। দেশে জানাজার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জমায়েতের আশা করছেন সরকার সংশ্লিষ্টরা। এ জন্য বুধবার (২২ মে) দেশটিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ নিহত অন্যদের প্রথম জানাজা তাবরিজে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে জানাজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ইরানের রীতি অনুযায়ী চলতে থাকে মাতম।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় বিকেলে আরেকটি জানাজা শুরুর আয়োজন করা হচ্ছিল। জানাজা শেষে নিহতদের কফিনের সঙ্গে শোক র্যালিটি আবারও এগিয়ে যাবে।
তাবরিজে নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে মাগফিরাতের দোয়া হবে। রাইসি ও অন্যদের আত্মার শান্তি কামনায় আল্লাহর দরবারে দোয়া শেষে চোখের পানি ফেলে তাবরিজবাসী তাদের নেতাকে শেষবারের মতো বিদায় দেবেন।
পরে ধর্মীয় শহর কোমে নিহতদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর বুধবার আনা হবে তেহরানে।
সেখানে বিশাল জানাজায় ইমামতি করবেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি দেশবাসীর উদ্দেশ্যে নির্দেশনামূলক ভাষণও দিতে পারেন। আয়াতুল্লাহর নেতৃত্বে তার আস্তাভাজন রাইসিকে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন শেষে তেহরান থেকে বিদায় দেওয়া হবে।
পরদিন বৃহস্পতিবার রাইসির জন্মশহর মাশহাদে মরদেহ নেওয়া হবে। সেখানে দিনভর দাফনের আনুষ্ঠানিকতা হবে। এ শহরেই তার জন্য কবর প্রস্তুত করা হচ্ছে। সেখানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন রাইসি। এভাবে মাতম, দোয়া, রাষ্ট্রীয় কার্যের মাধ্যমে শুক্রবার ইরানে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় শোকও শেষ হবে।
রোববার ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি। পরে সোমবার দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া যায়।
এ দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতিসহ সব আরোহী নিহত হন। নিহতের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়াই মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়।