ঝড়ে গাছ পড়ে ঘর চাপায় এক খাটে ঘুমিয়ে থাকা দাদি মনেজা খাতুন মারা যান। তবে একই গাছের নিচে চাপা পড়া সাত মাসের শিশু আবদুল্লাহ বেঁচে গেছে। এ ঘটনাকে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা অলৌকিক বলছে। তারা একসঙ্গে শোক ও শোকরিয়া পালন করছেন।
সোমবার (২৭ মে) ভোরে ভোলার লালমোহন উপজেলার গজারিয়া বাজার এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ঘর চাপায় মারা যান মনেজা।
নিহত মনেজা খাতুন ( ৫৫) ওই এলাকার আবদুল কাদেরের স্ত্রী।
আর আবদুল্লাহ আজাদের প্রথম সন্তান। আজাদ একজন শ্রমিক।
পরিবারের সদস্যরা জানান, সাত মাস বয়সী নাতি আবদুল্লাহকে নিয়ে টিনের ঘরের দক্ষিণ দিকের খাটে ঘুমিয়ে ছিলেন মনেজা। ভোর রাত ৪ টায় ঝড়ে ঘরের পাশের আম গাছ পড়ে ঘরটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘরসহ চাপা পড়া গাছের নিচে পড়ে মনেজা খাটের ওপরই মারা যান। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পরিবারের লোকজন প্রতিবেশীদের সহায়তায় মনেজার মরদেহের কাছ থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় আবদুল্লাহকে উদ্ধার করে। বিষয়টি পরিবার ও স্থানীয়দের কাছে অলৌকিক।
এ খবর শুনে তাকে দেখতে আসে স্থানীয়রা। এসেছিলেন লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুল ইসলামও।
এদিকে আবদুল্লাহর নিহত দাদি মনেজাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।