28 C
Dhaka
Thursday, July 25, 2024

ফের রিমান্ডে শিমুল-তানভীর-শিলাস্তি

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমকে খুনের উদ্দেশ্য অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামির আরও ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার (৩১ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- শিমুল ভুইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুইয়া ওরফে আমানউল্লাহ সাঈদ, তানভীর ভুইয়া ও শিলাস্তি রহমান।

এদিন আট দিনের রিমান্ড শেষে তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান ফের তাদের আট দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের ৬ দিনের দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আরো পড়ুন  ৪ মে সপরিবারে যে দেশে গেছেন বেনজীর আহমেদ

এর আগে গত ২২ মে শেরেবাংলা নগর থানায় নিহত সংসদ সদস্যের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বাদী হয়ে অপহরণ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন উল্লেখ করেছেন, গত ৯ মে আমার বাবা আনোয়ারুল আজিম রাত ৮টায় আমাদের বর্তমান বাসা ফ্ল্যাট নং-৮০৪, ৮ম তলা, বিল্ডিং নং-০৫, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, সংসদ সদস্য ভবন, থানা- শেরেবাংলা নগর, ডিএমপি, ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা করেন। পরে গত ১১ মে বিকাল আনুমানিক ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে আমার বাবার সঙ্গে মোবাইল নম্বর ০১৭৫৫৩৫০৩৫০-এ ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাই। গত ১৩ মে বাবার ইন্ডিয়ান সিম নম্বর +৯১৭০৬৩২১৪৫৬৯ থেকে উজির মামার ০১৭১১-২৭২৯১২ হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি মেসেজ আসে- ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি। আমার সাথে ভিআইপি আছে। আমি অমিত সাহার কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেব।’ এটি ছাড়াও আরও কয়েকটি মেসেজ আসে। ওই মেসেজগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে আমার বাবাকে অপহরণ করেছে।

আরো পড়ুন  খতনা করতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু : মামলার প্রতিবেদন পেছাল
সর্বশেষ সংবাদ