আব কি বার ৪০০ পার’— চব্বিশে দিল্লি বাড়ির লড়াইয়ের প্রচারণায় এই স্লোগান ছিল বিজেপি নেতাদের মুখে মুখে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) লক্ষ্য এবার ৪০০ এর বেশি আসন পাওয়া। কিন্তু ভোট গণনার ফলে তা থেকে বহুদূরে বিজেপি।
ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভোট গণনায় ২৩৭ আসনে এগিয়ে আছে বিজেপির প্রার্থীরা। যা প্রত্যাশার চেয়ে পিছিয়ে। আর কংগ্রেসের ১০০ প্রার্থী তাদের আসনে এগিয়ে রয়েছে। তাতে এক দশক পর দলটির চমক দেখা যাচ্ছে। ২০১৪ সালের লোকসভার ভোটে মাত্র ৪৪টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। আর উনিশে ৯১টিতে জয় পায় কংগ্রেসের প্রার্থীরা।
দুইটি দলই ভিন্ন দুটি জোটের নেতৃত্বে রয়েছে। বিজেপির নেতৃত্বাধীন ‘এনডিএ’ জোট কিছুটা এগিয়ে রয়েছে। ছেড়ে কথা বলছে না ‘ইন্ডিয়া’ জোটও। এনডিএ সমর্থিত প্রার্থীরা ২৯০ আসনে এগিয়ে আছে। আর ইন্ডিয়া জোটের সমর্থিত প্রার্থীরা ২৩৪ আসনে এগিয়ে।
ভারতে এবার সাত ধাপে ভোটগ্রহণের পর আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয় গণনা। এরপরই দুই জোটের লড়াইয়ের আভাসের চিত্র ফুটে উঠে। যদিও বুথফেরত জরিপে ছিল ভিন্ন কথা। বুথফেরত জরিপে এনডিএ ৪০০ এর কাছাকাছি আসন পেতে পারে বলে বলা হয়েছিল। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া জোটের ক্ষেত্রে ১৫০-১৬১ আসন পাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলা হয়। ভোট গণনায় বুথফেরত জরিপ ভুল প্রমাণিত হতে যাচ্ছে।
এদিকে, দিল্লির মসনদে বসতে বড় ফ্যাক্টর উত্তর প্রদেশে এখনও এগিয়ে ইন্ডিয়া জোট। ভারতের রাজনীতিতে একটি কথা প্রচলিত, ‘উত্তর প্রদেশ যার, দিল্লির মসনদ তারই’। লোকসভা নির্বাচনে এই প্রদেশে ৮০টি আসন রয়েছে। এরমধ্যে ৪২টি আসনে এগিয়ে ইন্ডিয়া জোট।
কেবল উত্তর প্রদেশ নয়, দেশটির আরও বড় পাঁচ রাজ্যের চারটিতে এগিয়ে কংগ্রেস ও তার শরিকেরা। কর্নাটক (২৮), মহারাষ্ট্র (৪৮), বিহার (৪০), পশ্চিমবঙ্গ (৪২) ও অন্ধ্র প্রদেশের (২৫) মধ্যে একমাত্র অন্ধ্র প্রদেশ ছাড়া বাকিগুলোতে বিজেপি ও তার শরিকেরা ততটা ভালো ফল করতে পারেনি।