গেল কয়েক বছর ধরেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাড়ছে তুর্কি ড্রোনের চাহিদা। বিশেষ করে স্বল্পমূল্যে ব্যাপক বিধ্বংসী যুদ্ধযান হিসেবে তুর্কি ড্রোনের ক্ষমতা ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়া অঞ্চলে এর বাজার তৈরি করেছে। ড্রোন ছাড়াও বিভিন্ন দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তুর্কি ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধজাহাজের চাহিদাও।
এরই মধ্যে তুরস্কের তৈরি যুদ্ধজাহাজ ব্যবহার করছে পরমাণু শক্তিধর দেশ পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশ। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তুরস্ক থেকে তিনটি যুদ্ধজাহাজ ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রয়েল মালয়েশিয়ান নৌবাহিনী।
তুর্কি সংবাদমাধ্যশ ডেইলি সাবাহ-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্ক থেকে নিজ নৌবাহিনীর জন্য তিনটি কর্ভেট সরবরাহের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মালয়েশিয়া। মালয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ খালেদ নরদিন তুর্কি প্রতিরক্ষা সংস্থা এসটিএম দ্বারা নির্মিত এসব কর্ভেট সংগ্রহের জন্য মালয়েশিয়ার স্বীকৃতির চিঠি তুর্কি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
এক বিবৃতিতে এমনটা জানায়, তুর্কি প্রেসিডেন্সি অব ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত এক আয়োজনে উপস্থিত থেকে তুর্কি প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রেসিডেন্ট হালুক গোর্গুন জানান, যুদ্ধজাহাজ ক্রয়ের এক চুক্তি দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্কের মাত্রাকে একটি নতুন দুয়ারে নিয়ে যাবে।
গোর্গুন জানান, এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে যে রয়্যাল মালয়েশিয়ান নৌবাহিনীর অন্যান্য প্রকল্পগুলিতে তুর্কি প্রতিরক্ষা শিল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে যা আগামী দিনগুলোতে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
তুরস্ক জানায়, মালয় নৌবাহিনীর জন্য সরবরাহ করা যুদ্ধজাহাজগুলোতে অন্তত ৫০টি তুর্কি প্রতিরক্ষা সংস্থার যুদ্ধ প্রযুক্তি থাকবে। এদের মধ্যে রয়েছে হাভেলসান, আসেলসান ও রকেটসান। এ সময় তুর্কি প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রেসিডেন্ট জানান, তুরস্ক তার ভাতৃপ্রতিম দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি, বিশেষজ্ঞ সহায়তা ভাগ করে নিয়ে থাকে।
মালয় নৌবাহিনীর জন্য সরবরাহ চুক্তির আওতায় এসব যুদ্ধজাহাজ প্রায় ১০০ মিটার লম্বা, ২ হাজার ৫০০ টন ওজনের হবে বলে জানা যায়। যুদ্ধজাহাজগুলোর গতি থাকবে সর্বোচ্চ ২৬ নট, এতে একটি হেলিকপ্টার ল্যান্ডিং প্ল্যাটফর্ম ও ১০০ সেনা বহনের সক্ষমতা থাকবে বলে জানিয়েছে তুরস্ক।