রাজধানীর ভাটারার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ শিশু আয়মানের পর চলে গেলেন তার খালা ফুতু আক্তারও (১৮)। হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখনও ভর্তি আছেন শিশুটির মা ও নানা।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেল ৪টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জেনারেল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফুতু। তার শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে বুধবার ভোর সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তিন বছরের শিশু আয়মানের। শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল তার।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। বিষয়টি ভাটারা থানাকে অবগত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এখনও শিশুটির মা রকসি আক্তার (২০) ও নানা আব্দুল মান্নান (৬০) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত সোমবার (১০ জুন) রাতের বিস্ফোরণের ঘটনায় রকসি আক্তারের শরীরের ৫৫ শতাংশ ও আব্দুল মান্নানের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রকসি আক্তারের চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার মহেশখালী থেকে ঢাকায় এসে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালের পাশে একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন। সে বাসায় একটি রুমের এসি থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ওই রুমে থাকা পরিবারের চারজন দগ্ধ হন।
জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যায় বিদুৎ চলে যায় ওই এলাকায়। রুমে এসি চালানো ছিল। যখন বিদুৎ চলে আসে, তখন এসিটি বিস্ফোরিত হয়। পরে আশপাশের লোকজন গিয়ে দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।