বিশ্বে এখন ২০২৪ সাল চলছে। তবে পৃথিবীতে এমন একটি দেশ আসে যেখানে ২০১৬ সাল চলমান। এটি অনেকটা টাইম ট্র্যাভেল সিনেমা এবং গল্পের মতো শোনায়। বিষয়টিকে আপনি অবশ্যই অনেক হলিউড এবং বলিউডের সিনেমা বা সিরিয়ালে টাইম ট্র্যাভেল গল্প হিসেবে দেখেছেন। কিন্তু এটিই বাস্তব।
আজ আমরা এমন একটি দেশের কথা বলতে চলেছি যেখানকার সময় অন্য দেশের তুলনায় সাত বছর পিছিয়ে। সেই দেশটির নাম ইথিওপিয়া। তাদের ক্যালেন্ডারে ১২ নয়, ১৩ মাস রয়েছে। সেখানকার ক্যালেন্ডার বাকি বিশ্বের থেকে ৭ বছর ৮ মাস পিছিয়ে। এখানে শেষ মাসকে বলা হয় পাইগুম, যা মাত্র ৫ বা ৬ দিনের। এই শেষ মাসটিতে কয়েকটি দিন জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যে দিনগুলো কোনো কারণে বছরের গণনায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
ইথিওপিয়া এখনও তার প্রাচীন ক্যালেন্ডার ব্যবহার করছে। এখানকার লোকেজন তাদের সেই ক্যালেন্ডারের কারণে ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে নতুন শতাব্দী উদযাপন করেছিল। বলা হয়, এই ক্যালেন্ডার ৫২৫ খ্রিস্টাব্দে রোমান চার্চ দ্বারা সংশোধন করা হয়েছিল। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ইথিওপিয়ানরা ২০১৬ সালকে বিদায় জানাবেন। সেই সাথে পালন করবেন বর্ষবরণ উৎসব। তারা যে সালকে স্বাগত জানাবেন, ইথিওপিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সেটি হলো ২০১৭।
বিশ্বের অধিকাংশ দেশ গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করলেও ইথিওপিয়া তার নিজস্ব ক্যালেন্ডার সিস্টেম অনুসরণ করে। দেশটিতে গুরুত্বপূর্ণ ছুটির দিনগুলো হয় যে দিনগুলো বাকি বিশ্বের থেকে আলাদা।
এই দেশে আসা পর্যটকদের কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় না। মানুষ এখানে প্রথম বসবাস শুরু করেছিল বলে বিশ্বাস করা হয়। এই দেশটিতেই ৩.২ মিলিয়ন বছরের পুরনো একটি হোমিনিড কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে এখানকার আফার অঞ্চলকে সবচেয়ে প্রাচীন বলা হয়।