27 C
Dhaka
Tuesday, July 2, 2024

মুক্তিযোদ্ধা কোটার পক্ষে কোরআন থেকে ‌‌‘দলিল’ দিলেন ঢাবি অধ্যাপক

মুক্তিযোদ্ধা কোটার পক্ষে ‘দলিল’ হিসেবে পবিত্র কোরআনের আয়াত তুলে ধরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন।

বুধবার (২৬ জুন) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে সিনেট অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন তিনি।

সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি থেকে নির্বাচিত সদস্যের বক্তব্যে অধ্যাপক জামাল উদ্দীন বলেন, ‌‌‘‘পবিত্র কোরআনের সুরা আনফালে পরিষ্কারভাবে বলা আছে, ‘যারা বিজিত বাহিনী হবে তারা দেশের সম্পদ, চাকরি, অর্থ ও ভূখণ্ডের ৮০ ভাগ অর্থাৎ চার পঞ্চমাংশের নিয়ন্ত্রণ পাবে। আর বাকি একভাগ থাকবে দুঃস্থ এতিমদের জন্য।’’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পর যে অন্ধকার যুগের সূচনা হয়েছে সেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা অবহেলিত হয়েছে, তাদের কোনও কিছুই দেয়া হয়নি, অথচ তারা ছিল বিজিত বাহিনী।’

আরো পড়ুন  স্নাতকে ৩.৬৫ পেয়ে তৃতীয় সেই অবন্তিকা

‘আমি সতর্ক করতে চাই, সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা কোটা হাইকোর্ট পুনর্বহাল করেছে। এটাকে কেন্দ্র করে ২০১৮/১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তারা ভাইস চ্যান্সেলরের বাড়িতে হামলা করেছে তা নজিরবিহীন। তারা আবার সেই পাঁয়তারা করছে। স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির আবরণ খোলস পরে প্রগ্রেসিভ ছাত্র সংগঠনের অভ্যন্তরে লুকিয়ে আছে। তারা কোটাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে।’ বলেন অধ্যাপক জামাল।

আরো পড়ুন  জানা গেল এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের সময়, যেভাবে আবেদন

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ ব্যবহার করে কেউ যাতে কোনও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে সিনেট সভায় আহ্বান জানান তিনি।

সিনেট অধিবেশনে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদসহ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ৫ জুন সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করার রায় দেন হাইকোর্ট।

উচ্চ আদালতের রায়ের পর কোটা ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক ও বিক্ষোভ নতুন করে ডালপালা মেলে। সামাজিকমাধ্যমে আলোচনার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক স্থানে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনেকে।

আরো পড়ুন  শুধু গণিতেই ১ লাখ ৬৬ হাজার পরীক্ষার্থী ফেল

২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল; যার মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং তাদের নাতি-নাতনিদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। ওই বছর দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা বিরোধী ব্যাপক আন্দোলন হয়। এর প্রেক্ষিতে নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেড পর্যন্ত চাকরির ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিল করে সরকার।

তবে, বাতিলের পর কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে নামে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের স্বজনদের কয়েকটি সংগঠন। মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তারা।

সর্বশেষ সংবাদ