মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে এরই মধ্যে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন সুমন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব এই জনপ্রতিনিধিকে হত্যা করতে চায় একটি মহল। গণমাধ্যমে এমন অভিযোগ করেছেন ব্যারিস্টার সুমন। কারা হত্যা করতে চায় তাকে, আর কারাই বা হুমকি দিচ্ছেন তাকে?
হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে চুনারুঘাট থানার ওসির মাধ্যমে হত্যার হুমকি দিয়েছে একটি মহল। এই ঘটনার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান ব্যরিস্টার সুমন। জিডির তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই শরীফুজ্জামন শরীফ কালবেলাকে জানিয়েছেন, অফিসিয়াল কপি এখনো তার হাতে পৌঁছেনি। জিডির কপি পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
জিডিতে ব্যারিস্টার সুমন উল্লেখ করেছেন, গত ২৭ জুন ঢাকায় অবস্থানকালে রাত আনুমানিক ৮টার সময় তার নির্বাচনী এলাকার চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার সরকারি মোবাইল থেকে ব্যারিস্টার সুমনের হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে জানান যে, আপনাকে হত্যার জন্য অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী মহল গত তিন দিন আগে ৪-৫ জনের একটি টিম নিয়ে মাঠে নেমেছে। সুমন যেন রাতে বাইরে বের না হন এবং সাবধানে থাকেন।
জিডিতে সুমন আরও উল্লেখ করেছেন, তখন তিনি ওসির কাছে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি ওই ব্যক্তির পরিচয় জানাতে না পারলেও সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন। এই বিষয়টি জানার পর মারাত্মকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলেও জানান ব্যরিস্টার সুমন।
জিডির কপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে সুমন লিখেছেন, ভয়টা মৃত্যুর নয়, ভয়টা তার এলাকার মানুষের জন্য! কী হবে যদি বেঁচে না থাকেন। প্রশাসন হুমকিদাতাদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেবেন বলেও আশা সুমনের। তিনি মনে করেন, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সংসদে সোচ্চার হওয়া এবং কতিপয় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে নিজ উদ্যোগে মামলা করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে থাকতে পারে।
হুমকির বিষয়ে জানতে চুনারুঘাট থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে একজন প্রবাসী গণমাধ্যম কর্মীর সঙ্গে ওসির কথোপকথনের একটি অডিও কালবেলার হাতে এসেছে। সেখানে ওসিকে বলতে শোনা যায়, একজন ফোন করে এমপি সুমনের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিতে বলেন। ওসি বলেন, এটা তার কাজ নয়। হুমকি দাতা ব্যারিস্টার সুমনকে সরাসরি ফোন করে হুমকি না দিয়ে কেন চুনারুঘাট থানার ওসির মাধ্যমে হুমকি দেবেন এমন প্রশ্ন ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।