পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বিচারবহির্ভূতভাবে কারাগারে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার সংস্থার ওয়ার্কিং গ্রুপ। এছাড়া তার দ্রুত মুক্তির আহ্বানও জানিয়েছে সংস্থাটি।
চলতি বছরের ২৫ মার্চ এ মন্তব্য করে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা ওয়ার্কিং গ্রুপ। তবে কয়েক মাস পর গতকাল সোমবার (৪ জুলাই) বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
নানা মামলায় জর্জরিত পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ২০২৩ সাল থেকে এখনো বন্দি আছেন ইসলামাবাদের আদিয়ালা কারাগারে। তিনি শুরু থেকেই বলে আসছিলেন, তাকে ক্ষমতায় আসতে বাধা দিতেই কারাগারে পাঠানোর জন্য ষড়যন্ত্র হয়েছে। তার সুরে কথা বলেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাও।
সংস্থাটির দাবি, রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই বিচারবহির্ভূতভাকে আটক রাখা হয়েছে ইমরান খানকে। একইসঙ্গে ইমরানের গ্রেফতারকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলেও আখ্যায়িত করেছে জেনেভা-ভিত্তিক জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিট্রারি ডিটেনশন।
গত ২৫ মার্চ মানবাধিকার সংস্থার ওয়ার্কিং গ্রুপ এ মন্তব্য করলেও সোমবার তা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়েছে, ইমরান খান যেন ক্ষমতায় না আসতে পারেন এজন্যই নাটক সাজিয়ে বিচারবহির্ভূতভাবে তাকে আটক করা হয়। একইভাবে তার যেসব মামলার বিচার হয়েছে, তারও আইনি ভিত্তি নেই বলে এতে উল্লেখ করা হয়।
ওয়ার্কিং গ্রুপ আরও বলছে, ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে ইমরান খানের দলের সদস্যদের গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হয় এবং তাদের নির্বাচনী সমাবেশ করতেও বাধা দেয়া হয়। এছাড়া নির্বাচনের দিনে ব্যাপক কারচুপিরও অভিযোগ করেছে ওয়ার্কিং গ্রুপটি।
পাঁচজন স্বাধীন বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে গঠিত জাতিসংঘের এই ওয়ার্কিং গ্রুপের মতামত শুনতে বাধ্য নয় পাকিস্তান সরকার। তবে তাদের এই মতামত বেশ গুরুত্ব বহন করে। ওয়ার্কিং গ্রুপটি বলেছে, ইমরান খানকে যে আইনি সমস্যার মধ্যে ফেলা হয়েছে সেটি মূলত তার এবং তার দল পিটিআই’র বিরুদ্ধে অনেক বড় দমন অভিযানের অংশ।
তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি পাকিস্তান সরকার।