22 C
Dhaka
Monday, December 9, 2024

ক্ষমতা গ্রহণ করেই অভিবাসীদের বড় সুখবর দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

সদ্য বিদায়ী কনজারভেটিভ সরকারের রুয়ান্ডা নীতি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এই নীতির আওতায় যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেয়া কিছু অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় পাঠানোর বিতর্কিত পরিকল্পনা করেছিল সাবেক ঋষি সুনাক সরকার। খবর আলজাজিরার।

সরকার গঠনের পর শনিবার (৬ জুন) প্রথম সংবাদ সম্মেলনে আসেন স্টারমার। সেখানে তিনি বলেন, রুয়ান্ডা স্কিম শুরু হওয়ার আগেই মারা গেছে ও দাফন হয়ে গেছে। এটি কখনই প্রতিরোধক হিসেবে ছিল না। আর যেটা প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে না, এমন কোনো কৌশল আমি অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত নই।

আরো পড়ুন  আম গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দুই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বিতর্কিত এই আইন পার্লামেন্টে পাস করে সুনাক সরকার। যদিও যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট সরকারের এই প্রকল্পকে মানবাধিকারের ভিত্তিতে বেআইনি হিসেবে রায় দেয়। তবে আদালতের রায়কে বাইপাস করে নতুন আইনে রুয়ান্ডাকে একটি নিরাপদ তৃতীয় দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তারপর মে মাস থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের গ্রেপ্তার শুরু করে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ।

আরো পড়ুন  ৯৩ দিন আটলান্টিকের নিচে কাটিয়ে ১০ বছর বয়স কমলো সাবেক মার্কিন নৌ কর্মকর্তার

কনজারভেটিভ সরকারের রুয়ান্ডা নীতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি সরব ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। নিজে একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক হলেও এই নীতির পক্ষে শক্ত অবস্থান নেন তিনি। একই সঙ্গে ছোট নৌকায় অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থীদের আগমন বন্ধ করার ঘোষণা দেন তিনি। এমনকি সংসদে বিরোধীরা এই পরিকল্পনায় আপত্তি করলে গত এপ্রিলে তিনি বলেছিলেন, কোনো যদি বা কিন্তু হবে না। যুক্তরাজ্য থেকে ফ্লাইট রুয়ান্ডায় যাচ্ছে।

আরো পড়ুন  অবৈধ পথে বিদেশ যেতে বৃদ্ধ সাজলেন ২৪ বছরের যুবক

বিগত কয়েক বছরে হাজারো অভিবাসনপ্রত্যাশী ছোট ছোট নৌকায় করে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে গেছেন। তাদের মধ্যে আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার যুদ্ধ ও দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে আসা মানুষই বেশি। ঝুঁকিপূর্ণ নৌযাত্রা বা সংঘবদ্ধ মানবপাচার চক্রের সহায়তায় দেশটিতে পাড়ি জমান তারা।

সর্বশেষ সংবাদ